কুর‘আন ও হাদীসের সুস্পষ্ট জ্ঞান ও তা যথাস্থানে প্রয়োগ করার যথেষ্ট প্রজ্ঞা ছাড়া বিচারকার্য পরিচালনা করা অথবা কোন ব্যাপারে সত্য উদ্ভাসিত হয়ে যাওয়ার পরও তা পাশ কাটিয়ে গিয়ে অন্যায়মূলক বিচার করা একটি মারাত্মক অপরাধ।
বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ: وَاحِـدٌ فِيْ الْـجَنَّةِ، وَاثْنَانِ فِيْ النَّارِ، فَأَمَّا الَّذِيْ فِيْ الْـجَنَّةِ ؛ فَرَجُلٌ عَرَفَ الْـحَقَّ فَقَضَى بِهِ، وَرَجُلٌ عَرَفَ الْـحَقَّ فَجَارَ فِيْ الْـحُكْمِ ؛ فَهُوَ فِيْ النَّارِ، وَرَجُلٌ قَضَى لِلنَّاسِ عَلَى جَهْلٍ ؛ فَهُوَ فِيْ النَّارِ.
‘‘বিচারক তিন প্রকারের। তম্মধ্যে একজন জান্নাতী আর অপর দু’জন জাহান্নামী। যিনি জান্নাতী তিনি হচ্ছেন এমন বিচারক যে সত্য উদ্ঘাটন করে উহার আলোকেই বিচার করেন। আরেকজন এমন যে, তিনি সত্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছেন ঠিকই তবে তিনি তা সূক্ষ্মভাবে পাশ কাটিয়ে গিয়ে অন্যায় ও অত্যাচারমূলক বিচার করে থাকেন। এমন বিচারক জাহান্নামী। আরেকজন এমন যে, তিনি অজ্ঞতা ও মূর্খতাকেই পুঁজি করে বিচার করে থাকেন। অতএব তিনিও জাহান্নামী’’।
(আবূ দাউদ ৩৫৭৩; তিরমিযী ১৩২২; ইব্নু মাজাহ্ ২৩৪৪)
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
إِنَّ اللهَ مَعَ الْقَاضِيْ مَا لَمْ يَجُرْ، فَإِذَا جَارَ تَخَلَّى عَنْهُ وَلَزِمَهُ الشَّيْطَانُ.
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা বিচারকের সহযোগিতায়ই থাকেন যতক্ষণ না সে বিচারে কারোর উপর যুলুম করে। তবে যখন সে বিচারে কারোর উপর যুলুম করে বসে তখন আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর সহযোগিতা উঠিয়ে নেন এবং শয়তার তাকে আঁকড়ে ধরে’’। (তিরমিযী ১৩৩০; ইব্নু মাজাহ্ ২৩৪১)