উত্তরঃ প্রথমতঃ আমাদের একটা জিনিস জানা উচিৎ যে, ইহ্রামের কোন নামায নেই। কেননা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহ্রামের উদ্দেশ্যে তাঁর উম্মতের জন্য আদেশের মাধ্যমে হোক বা নিজে আদায়ের মাধ্যমে হোক অথবা সম্মতির মাধ্যমে হোক কোন নামাযের বিধান করে গেছেন মর্মে কিছুই বর্ণিত হয়নি।
দ্বিতীয়তঃ ইহরামের আগে ঋতুগ্রস্ত হওয়া এই ঋতুবতী ঋতুগ্রস্ত থাকা অবস্থায় ইহরাম বাঁধতে পারবে। কেননা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইস (রাযিয়াল্লাহু আনহা) যখন যুল হুলায়ফাতে [মদীনাবাসীদের মীক্বাত] প্রসূতি হয়েছিলেন, তখন তাকে গোসল করতঃ একটা কাপড় বেঁধে ইহরাম বাঁধার আদেশ করেছিলেন।[1] আর ঋতুবতীও এরূপ করবে এবং পবিত্র হওয়া পর্যন্ত ইহ্রাম অবস্থায় থাকবে। অতঃপর [পবিত্র হলে] কাবা ঘর তওয়াফ ও ছাফা-মারওয়ায় সাঈ করবে।
প্রশ্নে কুরআন পাঠের বিষয়ে বলা হয়েছে, সে কি কুরআন পড়তে পারবে? হ্যাঁ, জরূরী প্রয়োজনে [যেমন অন্যকে শিক্ষা দেওয়া বা পরীক্ষার জন্য নিজে পড়া ইত্যাদি] ঋতুবতী কুরআন পড়তে পারবে। তবে বিনা প্রয়োজনে কেবলমাত্র আল্লাহর ইবাদত ও সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার জন্য কুরআন না পড়াই ভাল হবে।
উত্তরঃ তওয়াফে ইফাযার সময় তার যে রক্ত এসেছিল, তা যদি ঋতুর রক্ত হয়- যা সে রক্তের বৈশিষ্ট্য দেখে বা ব্যথা অনুভবের মাধ্যমে চিনতে পারবে- তাহলে তার ঔ তওয়াফ শুদ্ধ হয়নি। সেজন্য তওয়াফে ইফাযার উদ্দেশ্যে তাকে আবার মক্কায় ফিরে আসতে হবে। অতঃপর সে মীক্বাত থেকে ওমরার ইহরাম বেঁধে তওয়াফ, সাঈ ও চুল ছেঁটে ওমরা সম্পন্ন করতঃ তওয়াফে ইফাযা করবে।
কিন্তু তার এই রক্ত যদি ঋতুর রক্ত না হয়ে ভীড়ের প্রচণ্ডতায় বা ভীতির কারণে অথবা অনুরূপ অন্য কোন কারণে বের হওয়া রক্ত হয়, তাহলে যাদের নিকট তওয়াফের জন্য পবিত্রতা* অর্জন শর্ত নয়, তাদের নিকট তার তওয়াফ শুদ্ধ হবে।
প্রথম মাসআলায় [ঋতুর রক্তের ক্ষেত্রে] যদি দেশ দূরে হওয়ার কারণে তার ফিরে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে তার হজ্জ শুদ্ধ হবে। কেননা সে যতটুকু করেছে, তার চেয়ে বেশী করা এখন তার পক্ষে সম্ভব নয়।
উত্তরঃ যদি সে সঊদী আরবের হয়, তাহলে সে তার মাহ্রাম পুরুষের সাথে চলে যেয়ে ইহ্রাম অবস্থায় থাকবে। অতঃপর পবিত্র হলে আবার মক্কায় ফিরে আসবে। কেননা তার জন্য ফিরে আসা সহজ এবং তার তেমন কোন পরিশ্রমও হবে না আবার পাসপোর্টেরও প্রয়োজন হবে না। কিন্তু যদি সে ভিনদেশী হয় এবং আবার ফিরে আসা তার জন্য কষ্টসাধ্য হয়, তাহলে সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে পট্টি বেঁধে তওয়াফ ও সাঈ করে নিবে। অতঃপর ঐ একই সফরে চুল ছেঁটে ওমরার কাজ শেষ করবে। কেননা ঐ অবস্থায় তার তওয়াফ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। আর আবশ্যকতা নিষিদ্ধ বিষয়কে বৈধ করে।
উত্তরঃ ঋতুগ্রস্ত হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ না জানা পর্যন্ত এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। কেননা হজ্জের কিছু কিছু কাজে ঋতুস্রাব প্রতিবন্ধক হয় না আবার কিছু কিছুতে তা প্রতিবন্ধক হয়। যেমন পবিত্র অবস্থায় ছাড়া তার পক্ষে তওয়াফ করা সম্ভব নয়, কিন্তু এতদ্ব্যতীত হজ্জের অন্যান্য কাজ ঋতুগ্রস্ত থাকা সত্ত্বেও করা সম্ভব।
উত্তরঃ না জেনে ফৎওয়া দেওয়ার এটা একটা মুছীবত। এই অবস্থায় আপনাকে মক্কায় ফিরে যেতে হবে এবং কেবলমাত্র তওয়াফে ইফাযা সম্পন্ন করতে হবে। মক্কা থেকে বের হওয়ার সময় আপনি ঋতুগ্রস্ত থাকায় আপনাকে আর বিদায়ী তওয়াফ করতে হবে না। কেননা ঋতুবতীর জন্য বিদায়ী তওয়াফ যরূরী নয়। এ মর্মে ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণিত হাদীছে এসেছে, “রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষদেরকে এ মর্মে আদেশ করেছেন যে, তাদের সর্বশেষ কাজ যেন হয় কাবায় [অর্থাৎ বিদায়ী তওয়াফ]। তবে তিনি ঋতুবতীর ক্ষেত্রে এ হুকুম লাঘব করেছেন।”[1] আবূ দাঊদের অন্য বর্ণনায় এসেছে, “তাদের সর্বশেষ কাজ যেন হয় কাবা ঘরের তওয়াফ।”[2] অনুরূপভাবে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যখন খবর দেওয়া হলো, ছফিয়্যা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) তওয়াফে ইফাযা সম্পন্ন করে ফেলেছেন, তখন তিনি বললেন, “তাহলে এখন সে চলে যাক।”[3] এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, ঋতুবতীর বেলায় বিদায়ী তওয়াফ যরূরী নয়। তবে অবশ্যই আপনাকে তওয়াফে ইফাযা সম্পন্ন করতে হবে। আর আপনি যেহেতু অজ্ঞতাবশতঃ সবকিছু থেকে হালাল হয়েছিলেন, সেহেতু এটা আপনাকে কোন ক্ষতি করবে না। কেননা কেউ না জেনে ইহরামের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহের কোন কিছু করে ফেললে তার কোন সমস্যা হবে না। মহান আল্লাহ বলেন, “হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি, তাহলে আপনি আমাদের ধরবেন না” (আল-বাক্বারাহ ২৮৬)। তখন আল্লাহ বলেন, “ঠিক আছে, আমি ধরব না।”[4] মহান আল্লাহ অন্যত্রে বলেন, “তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই কিন্তু তোমাদের অন্তরে সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে” (আহযাব ৫)। সুতরাং ইহরামরত ব্যক্তির উপর আল্লাহকর্তৃক নিষিদ্ধ সমস্ত বিষয় যদি সে না জেনে বা ভুলে অথবা বাধ্য হয়ে করে ফেলে, তাহলে তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না। তবে যখনই তার ওযর চলে যাবে, তখনই কৃত বিষয় থেকে বিরত থাকা তার উপর ওয়াজিব হবে।
2. আবু দাঊদ, 'হজ্জ' অধ্যায়, 'বিদায়ী তওয়াফ' অনুচ্ছেদ হা/২০০২।
1. বুখারী, 'হজ্জ' অধ্যায়, 'তওয়াফে ইফাযার পরে যে মহিলা ঋতুগ্রস্ত হয়' অনুচ্ছেদ হা/৩২৮; মুসলিম, 'হজ্জ' অধ্যায়, 'বিদায়ী তওয়াফ' অনুচ্ছেদ হা/৩৮২, ১২১১।
2. মুসলিম, 'ঈমান' অধ্যায়, 'আল্লাহপাক মানুষের মনের পরিকল্পনা (বাস্তবায়ন না করলে) ক্ষমা করে দেন' অনুচ্ছেদ হা/২০০, ১২৬।
উত্তরঃ সে নিশ্চিতভাবে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত গোসল করতঃ তওয়াফ করা তার জন্য জায়েয নয়। প্রশ্নে তার কথা “প্রাথমিকভাবে” থেকে বুঝা যায় যে, সে পরিপূর্ণভাবে পবিত্র হয়নি। তাই তাকে পূর্ণ পবিত্র হতেই হবে। এরপর যখন সে পূর্ণ পবিত্র হবে, তখন গোসল করে তওয়াফ ও সাঈ সম্পন্ন করবে। তওয়াফের আগে সাঈ করে ফেললেও কোন সমস্যা নেই। কেননা তওয়াফের আগে সাঈ করে ফেলেছেন- এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “কোন অসুবিধা নেই।”[1]
উত্তরঃ তার হজ্জ শুদ্ধ হয়েছে এবং তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব নয়।
উত্তরঃ এই কাজ জায়েয হয়নি। যে মহিলা ওমরা করতে চায়, ঋতুগ্রস্ত থাকা সত্ত্বেও বিনা ইহরামে মীক্বাত অতিক্রম করা তার জন্য জায়েয নয়। সেজন্য সে ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় ইহরাম বাঁধবে এবং তার ইহরাম সম্পন্ন ও শুদ্ধ হবে। এর পক্ষে দলীল হচ্ছে- আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইস (রাযিয়াল্লাহু আনহা) সন্তান প্রসব করলেন। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বিদায় হজ্জের উদ্দেশ্যে যুল হুলায়ফাতে অবতরণ করেছেন। এমতাবস্থায় তিনি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট খবর পাঠালেন যে, আমি এখন কি করব? রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তুমি গোসল কর এবং ওখানে একটা ন্যাকড়া বেঁধে ইহরাম বাঁধ।”[1] আর ঋতুর রক্ত প্রসূতি অবস্থার রক্তের মতই। সেজন্য ঋতুবতী ওমরা বা হজ্জের উদ্দেশ্যে মীক্বাত অতিক্রম করলে আমরা তাকে বলি, তুমি গোসল করে এবং একটা ন্যাকড়া বেঁধে ইহরাম বাঁধ। হাদীছে উল্লেখিত (الاستثفار) শব্দের অর্থ হলো, “সে তার লজ্জাস্থানে একটা ন্যাকড়া বাঁধবে”। অতঃপর হজ্জ বা ওমরার ইহরাম বাঁধবে। তবে সে ইহরাম বেঁধে মক্কায় পৌঁছে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত কাবা ঘরে আসবে না এবং তওয়াফও করবে না। এজন্য ওমরার মাঝামাঝি সময়ে আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ঋতুগ্রস্ত হলে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উদ্দেশ্যে বলেন, “হজ্জ পালনকারী যা করে, তুমিও তাই কর। তবে পবিত্র না হয়ে তুমি কাবা ঘর তওয়াফ করো না।”[2] এটি হচ্ছে বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনা। ছহীহ বুখারীতে এসেছে, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) উল্লেখ করেন, তিনি পবিত্র হয়ে কাবা ঘর তওয়াফ করেছেন এবং ছাফা-মারওয়া সাঈ করেছেন।[3] এই হাদীছ প্রমাণ করে যে, মহিলা যদি ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় হজ্জ বা ওমরার ইহরাম বাঁধে অথবা তওয়াফের পূর্ব মুহূর্তে তার ঋতুস্রাব আসে, তাহলে সে পবিত্র না হয়ে এবং গোসল না করে তওয়াফ বা সাঈ কোনটাই করবে না।
তবে যদি সে পবিত্র অবস্থায় তওয়াফ করে এবং তওয়াফ শেষে তার ঋতুস্রাব আসে, তাহলে সে হজ্জ বা ওমরার কাজ অব্যাহত রাখবে এবং সাঈও করবে- যদিও তার শরীরে ঋতুস্রাব থাকে। এরপর চুল ছেঁটে ওমরার কাজ শেষ করবে। কেননা ছাফা-মারওয়াতে সাঈর জন্য পবিত্র থাকা শর্ত নয়।
1. বুখারী, 'হজ্জ' অধ্যায়, 'ঋতুবতী কা'বা ঘরের তওয়াফ ছাড়া হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করবে' অনুচ্ছেদ হা/১৬৫০; মুসলিম, 'হজ্জ' অধ্যায়, 'ইহরামের বিভিন্ন ধরন বা পদ্ধতির বিবরণ' অনুচ্ছেদ হা/১২০, ১২১১।
2. বুখারী, 'ওমরা' অধ্যায়, 'তান'ঈম থেকে ওমরা' অনুচ্ছেদ হা/১৭৮৫।
উত্তরঃ আপনার স্ত্রীর ক্ষেত্রে হুকুম হচ্ছে, সে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করবে। অতঃপর ওমরা সম্পন্ন করবে। কেননা যখন ছফিয়্যা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ঋতুগ্রস্ত হলেন, তখন রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সে কি আমাদেরকে আটকে দিল”? ছাহাবীগণ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) বললেন, তিনি তওয়াফে ইফাযা সম্পন্ন করে ফেলেছেন। তখন রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তাহলে এখন সে চলে যাক।”[1] এই হাদীছে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উক্তি, “সে আমাদেরকে কি আটকে দিল?” প্রমাণ করে যে, তওয়াফে ইফাযার আগে কোন মহিলা ঋতুগ্রস্ত হয়ে গেলে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করা অতঃপর পবিত্র হলে তওয়াফ করা তার উপর আবশ্যক। আর ওমরার তওয়াফ তওয়াফে ইফাযার মতই। কেননা উহা ওমরার একটা রুকন। সুতরাং ওমরাকারিণী তওয়াফের পূর্বে ঋতুগ্রস্ত হয়ে গেলে পবিত্র হয়ে তওয়াফ করা পর্যন্ত সে অপেক্ষা করবে।
উত্তরঃ “সাঈর স্থান” মসজিদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর এ কারণেই কর্তৃপক্ষ এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী দেওয়াল দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু দেওয়ালটা বেশ নীচু। “সাঈর স্থান” মসজিদুল হারামের অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নিঃসন্দেহে মানুষের জন্য কল্যাণকর। কেননা যদি এ স্থানকে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করা হত, তাহলে কোন মহিলা তওয়াফ ও সাঈর মাঝামাঝি সময়ে ঋতুবতী হলে সাঈ করা তার জন্য নিষিদ্ধ হত। সেজন্য আমাদের ফাতাওয়া হলো, কোন মহিলা তওয়াফের পরে এবং সাঈর আগে ঋতুগ্রস্ত হলে সে সাঈ করে নিবে। কেননা সাঈর স্থানটা মসজিদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
আর তাহিয়্যাতুল মাসজিদ প্রসঙ্গে বলা হবে, কেউ যদি তওয়াফের পরে সাঈ করে এবং আবার মসজিদে ফিরে আসে, তাহলে সে উহা আদায় করবে। তাহিয়্যাতুল মাসজিদ ছেড়ে দিলে কোন সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো, মানুষ সুযোগ গ্রহণ করতঃ দুই রাকআত নামায আদায় করে নিবে। কেননা এ মসজিদে নামায আদায়ের বিরাট ফযীলত রয়েছে।