আমি এক স্থানে আমার আত্মীয়ের সাথে সাক্ষাতে গেলাম। তারা আমাকে এক শিশুর বিষয়ে জানাল যে, কয়েক দিন হল সে মার দুধ পান করা ছেড়ে দিয়েছে, অথচ কিছুদিন পূর্বেই সে তার মার দুধ স্বাভাবিকভাবে পান করত । আমি তাদেরকে বললাম শিশুটিকে আমার কাছে নিয়ে আস। তারা শিশুটিকে আমার কাছে নিয়ে আসলে আমি কিছু মাসনুন দু'আ এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে ঝাড়-ফুক করলাম এবং আমি বললাম এবার শিশুটিকে তার মার কাছে নিয়ে যান। শিশুটিকে মার কাছে নিয়ে গেল এবং ফিরে এসে আমাকে সুসংবাদ দিল যে, শিশুটি এখন মার স্ত ন মুখে গিলে দুধ পান করছে। আলহামদুলিল্লাহ এটা সম্পূর্ণই আল্লাহর মেহেরবানী । এতে তার শক্তি ও সামর্থ ব্যতীত কারো কোন ক্ষমতা নেই।
একটি বালক কথা বলা বন্ধ করে দেয়ঃ সে মাধ্যমিক মডেল স্কুলের অত্যান্ত মেধাবী ও মিষ্টভাষী শিশু যার খ্যাতি ছড়িয়ে গিয়েছিল। সে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখত। একদিন তার গ্রামে কারো মৃত্যুতে শোকাহত ব্যক্তিদের সান্তনার জন্যে গেল। সেখানে হামদ ও সানার পর সে অতি প্রাঞ্জল ভাষায় বক্তব্য দেয়। এরপর যখন সে বাড়ি ফিরে সে রাতেই বোবা হয়ে গেল। তার বাবা তাকে হাসপাতাল নিয়ে গেল। ডাক্তারগণ চেকআপ করে কিছুই পেল না। এরপর তার বাবা তাকে আমার কাছে নিয়ে আসল আমি তাকে দেখে হতবাক হলাম, আমার চোখে পানি এসে গেল কেননা আমি তার বিষয়ে জানতাম। নিজেকে সামলে নিয়ে আমি তার বাবার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি আমাকে সব বললেন আর বালকটি নিচুপ দাড়িয়ে আছে। আমি বুঝতে পারলাম যে, ছেলেটির উপর বদ নজর পড়েছে। আমি সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তার উপর ঝাড়-ফুক করলাম এবং বদ নজরের দু'আগুলো ও আয়াত পড়ে পানিতে ফু দিয়ে তার বারাকে দিয়ে বললাম এই পানি সাতদিন পর্যন্ত ছেলেটিকে পান করাবেন এবং তা দিয়ে গোসল করাবেন। এরপর আমার কাছে আসবেন। যখন সাত দিন পর ছেলেটি আমার কাছে আসল তখন সে আলহামদুলিল্লাহ পরিপূর্ণ সুস্থ এবং পূর্বের ন্যায় কথা বলতে থাকে। এরপর আমি তাকে বদ নজর থেকে হেফাজতের জন্যে সকাল-সন্ধ্যার দু'আগুলো শিখিয়ে দিলাম। (রুগী সম্মানিত লিখকের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সরাসরি ছাত্র। সৌদি আরবের আবহাতে শিক্ষকতা অবস্থায় তিনি তাকে পড়ান)
সংক্ষেপে ঘটনাটি হল, এক ব্যক্তি এবং এক বৃদ্ধ মহিলা আমাদের কাছে আগমন করলেন। মহিলা আমার স্ত্রীর কাছে গিয়ে বসলেন আর পুরুষটি আমার কাছে এসে বসল এবং তার মার ঘটনা বলতে লাগল। এরপর আমি তার মাকে আমার কাছে ডাকলাম এবং কিছু দু'আ পড়ে তাকে ঝাড়লাম। এরপর তারা চলে গেল।
হঠাৎ কিছুক্ষণ পর দেখি যে, ছোট ছোট সাদা সাদা পোকা ঘরের সব স্থানে ছেয়ে গেছে। আমি ভাবলাম এসব পোকা কোথা হতে আসল। আমি হতাশায় পড়ে গেলাম। আমার স্ত্রী অনেকবার ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করতে থাকল কিন্তু মুহুর্তেই আবার ঘর ভরে যায়। আমি আমার স্ত্রীকে বললাম ভেবে দেখ এমনটি কেন হচ্ছে? আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম সেই বৃদ্ধ মহিলা তোমাকে কি বলছিল? উত্তরে সে বলল যে, বৃদ্ধা আমাদের বাড়ির চতুর্দিকে শুধু লম্বা লম্বা দৃষ্টি দিয়ে তাকাচ্ছিল; কিন্তু কোন কিছু বলছিল না। আমি বুঝে গেলাম যে, এসব বদ নজরের জন্যেই হয়েছে। যদিও আমাদের বাড়ি খুবই সাধারণ ও সাদা সিধে। হয়ত বৃদ্ধ মহিলা কোন গ্রামের বাসিন্দা ছিল, যে শহর কখনও দেখেনি।
মূলকথা হল যে, আমি এক পাত্র পানি নিয়ে বদ নজর নষ্টের জন্যে দুআ পড়ে পানিতে ফু দিলাম। আর সমস্ত পানি ঘরে ছিটিয়ে দিলাম। এরপর মুহুর্তেই সমস্ত পোকা গায়েব হয়ে গেল। আর বাড়ির সকল স্থান পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসল। আলহামদুলিল্লাহ।