ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
যাদুকর ও জ্যোতিষীর গলায় ধারালো তরবারি বদ নজরের চিকিৎসার কতিপয় বাস্তব উদাহরণ ওয়াহীদ বিন আব্দুস সালাম বালী
দ্বিতীয় ঘটনাঃ বালকের বাক শক্তি রুদ্ধ

একটি বালক কথা বলা বন্ধ করে দেয়ঃ সে মাধ্যমিক মডেল স্কুলের অত্যান্ত মেধাবী ও মিষ্টভাষী শিশু যার খ্যাতি ছড়িয়ে গিয়েছিল। সে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখত। একদিন তার গ্রামে কারো মৃত্যুতে শোকাহত ব্যক্তিদের সান্তনার জন্যে গেল। সেখানে হামদ ও সানার পর সে অতি প্রাঞ্জল ভাষায় বক্তব্য দেয়। এরপর যখন সে বাড়ি ফিরে সে রাতেই বোবা হয়ে গেল। তার বাবা তাকে হাসপাতাল নিয়ে গেল। ডাক্তারগণ চেকআপ করে কিছুই পেল না। এরপর তার বাবা তাকে আমার কাছে নিয়ে আসল আমি তাকে দেখে হতবাক হলাম, আমার চোখে পানি এসে গেল কেননা আমি তার বিষয়ে জানতাম। নিজেকে সামলে নিয়ে আমি তার বাবার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি আমাকে সব বললেন আর বালকটি নিচুপ দাড়িয়ে আছে। আমি বুঝতে পারলাম যে, ছেলেটির উপর বদ নজর পড়েছে। আমি সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তার উপর ঝাড়-ফুক করলাম এবং বদ নজরের দু'আগুলো ও আয়াত পড়ে পানিতে ফু দিয়ে তার বারাকে দিয়ে বললাম এই পানি সাতদিন পর্যন্ত ছেলেটিকে পান করাবেন এবং তা দিয়ে গোসল করাবেন। এরপর আমার কাছে আসবেন। যখন সাত দিন পর ছেলেটি আমার কাছে আসল তখন সে আলহামদুলিল্লাহ পরিপূর্ণ সুস্থ এবং পূর্বের ন্যায় কথা বলতে থাকে। এরপর আমি তাকে বদ নজর থেকে হেফাজতের জন্যে সকাল-সন্ধ্যার দু'আগুলো শিখিয়ে দিলাম। (রুগী সম্মানিত লিখকের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সরাসরি ছাত্র। সৌদি আরবের আবহাতে শিক্ষকতা অবস্থায় তিনি তাকে পড়ান)