এখানে আকীদার উৎস বিষয়ে সাহাবীগণ ও তাঁদের অনুসারী আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মূলনীতি এবং পাশাপাশি শীয়া-রাফিযী, খারিজী, মুতাযিলা ও অন্যান্য বিভ্রান্ত গোষ্ঠীর মূলনীতি উল্লেখ করা হলো:
সাহাবীগণ ও আহলুস সুন্নাহ |
বিভ্রান্ত সম্প্রদায় |
|
১ |
কুরআন-হাদীস বা ওহীর বাইরে আকীদার জ্ঞান বা বিশ্বাসের কোনো নিশ্চিত উৎস নেই। |
আকীদার অন্যান্য নিশ্চিত উৎস আছে: ইলহাম, ইলকা, কাশফ, ইলম লাদুন্নী, দর্শন, বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তি ইত্যাদি। |
২ |
ওহীর সরল অর্থই ওহী। এর ব্যাখ্যায় আলিমদের মতামত মানবীয় জ্ঞান-প্রসূত কথা, তা ওহীর সমতুল্য নয়। |
মানবীয় তাফসীর-ব্যাখ্যাকে ওহীর মর্যাদা প্রদান এবং তাফসীরের নামে ওহীর সুস্পষ্ট অর্থ পরিত্যাগ। |
৩ |
হাদীস আকীদার উৎস ও ভিত্তি। |
হাদীসের গুরুত্ব অস্বীকার বা অবমূল্যায়ন। |
৪ |
যাচাই পূর্বক শুধু বিশুদ্ধ হাদীস গ্রহণ। |
যাচাই ছাড়া পছন্দমত হাদীস গ্রহণ। |
৫ |
কুরআন-হাদীসের বক্তব্য সুনিশ্চিত; দর্শন-যুক্তির প্রমাণে অনিশ্চয়তা আছে। দর্শন ও যুক্তিকে কুরআন-হাদীসের বক্তব্য দিয়ে যাচাই করতে হবে। |
দর্শন-যুক্তির প্রমাণ সুনিশ্চিত; কুরআন-হাদীসের বক্তব্য অস্পষ্ট ও ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। কুরআন-হাদীসের বক্তব্য দর্শন ও যুক্তি দিয়ে যাচাই করতে হবে। |
৬ |
অনির্ভরযোগ্য ও জাল হাদীস বর্জন। |
জাল হাদীস তৈরি বা গ্রহণ। |
৭ |
‘আকলী দলীল’ বা দার্শনিক যুক্তিকে ওহী দ্বারা যাচাই করে গ্রহণ বা বর্জন। |
ওহীকে ‘আকলী দলীল’ দিয়ে বিচার করে গ্রহণ বা বর্জন করা। |
৮ |
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরে কারো নির্ভুলতা বা অভ্রান্ততা নেই। সকলের মতামত ওহী দিয়ে যাচাই করে গ্রহণ-বর্জন করতে হবে। |
পরবর্তী অনেকেই ভুলের ঊর্ধ্বে । তাদের ভুল হতে পারে না। তাদের মতের আলোকে কুরআন-হাদীস গ্রহণ বা ব্যাখ্যা করতে হবে। |
৯ |
ওহী অনুধাবনে সাহাবীগণের অনুসরণ। |
সাহাবীগণের গুরুত্ব অস্বীকার। |
১০ |
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বা সাহাবীগণ যা বলেন নি বা করেন নি তাকে দীনের অংশ না বানানো। |
পরবর্তী যুগের ব্যক্তিবর্গের মত ও কর্মকে দীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানানো। |
১১ |
উম্মতের- বিশেষত সাহাবীগণের- ইজমা বা ঐকমত্যকে গুরুত্ব দেওয়া। |
শুধু স্বপক্ষের আলিমগণের ঐকমত্যকে গুরুত্ব দেওয়া বা ইজমা বলে দাবি করা। |