আল-ফিকহুল আকবর মহান আল্লাহর বিশেষণ, তাকদীর ইত্যাদি ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)
২. ৮. আকীদার উৎস: সংক্ষিপ্ত রেখাচিত্র

এখানে আকীদার উৎস বিষয়ে সাহাবীগণ ও তাঁদের অনুসারী আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মূলনীতি এবং পাশাপাশি শীয়া-রাফিযী, খারিজী, মুতাযিলা ও অন্যান্য বিভ্রান্ত গোষ্ঠীর মূলনীতি উল্লেখ করা হলো:

সাহাবীগণ ও আহলুস সুন্নাহ

বিভ্রান্ত সম্প্রদায়

কুরআন-হাদীস বা ওহীর বাইরে আকীদার জ্ঞান বা বিশ্বাসের কোনো নিশ্চিত উৎস নেই।

আকীদার অন্যান্য নিশ্চিত উৎস আছে: ইলহাম, ইলকা, কাশফ, ইলম লাদুন্নী, দর্শন, বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তি ইত্যাদি।

ওহীর সরল অর্থই ওহী। এর ব্যাখ্যায় আলিমদের মতামত মানবীয় জ্ঞান-প্রসূত কথা, তা ওহীর সমতুল্য নয়।

মানবীয় তাফসীর-ব্যাখ্যাকে ওহীর মর্যাদা প্রদান এবং তাফসীরের নামে ওহীর সুস্পষ্ট অর্থ পরিত্যাগ।

হাদীস আকীদার উৎস ও ভিত্তি।

হাদীসের গুরুত্ব অস্বীকার বা অবমূল্যায়ন।

যাচাই পূর্বক শুধু বিশুদ্ধ হাদীস গ্রহণ।

যাচাই ছাড়া পছন্দমত হাদীস গ্রহণ।

কুরআন-হাদীসের বক্তব্য সুনিশ্চিত; দর্শন-যুক্তির প্রমাণে অনিশ্চয়তা আছে। দর্শন ও যুক্তিকে কুরআন-হাদীসের বক্তব্য দিয়ে যাচাই করতে হবে।

দর্শন-যুক্তির প্রমাণ সুনিশ্চিত; কুরআন-হাদীসের বক্তব্য অস্পষ্ট ও ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। কুরআন-হাদীসের বক্তব্য দর্শন ও যুক্তি দিয়ে যাচাই করতে হবে।

অনির্ভরযোগ্য ও জাল হাদীস বর্জন।

জাল হাদীস তৈরি বা গ্রহণ।

‘আকলী দলীল’ বা দার্শনিক যুক্তিকে ওহী দ্বারা যাচাই করে গ্রহণ বা বর্জন।

ওহীকে ‘আকলী দলীল’ দিয়ে বিচার করে গ্রহণ বা বর্জন করা।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরে কারো নির্ভুলতা বা অভ্রান্ততা নেই। সকলের মতামত ওহী দিয়ে যাচাই করে গ্রহণ-বর্জন করতে হবে।

পরবর্তী অনেকেই ভুলের ঊর্ধ্বে । তাদের ভুল হতে পারে না। তাদের মতের আলোকে কুরআন-হাদীস গ্রহণ বা ব্যাখ্যা করতে হবে।

ওহী অনুধাবনে সাহাবীগণের অনুসরণ।

সাহাবীগণের গুরুত্ব অস্বীকার।

১০

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বা সাহাবীগণ যা বলেন নি বা করেন নি তাকে দীনের অংশ না বানানো।

পরবর্তী যুগের ব্যক্তিবর্গের মত ও কর্মকে দীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানানো।

১১

উম্মতের- বিশেষত সাহাবীগণের- ইজমা বা ঐকমত্যকে গুরুত্ব দেওয়া।

শুধু স্বপক্ষের আলিমগণের ঐকমত্যকে গুরুত্ব দেওয়া বা ইজমা বলে দাবি করা।