কুরআন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপর যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছে আক্ষরিকভাবে সেভাবেই তিনি ও সাহাবীগণ মুখস্থ করেছেন, প্রতিদিন সালাতে পাঠ করেছেন, রাতের সালাতে এবং নিয়মিত তিলাওয়াতে খতম করেছেন। এভাবে সাহাবীগণের যুগ থেকে অগণিত অসংখ্য মুসলিম কুরআন মুখস্থ ও তিলাওয়াতের মাধ্যমে সংরÿণ করেছেন। কুরআনই ঈমান, বিশ্বাস বা আকীদার মূল ভিত্তি।
আমরা পরবর্তীতে দেখব যে, কুরআনের বিষয়ে সাহাবী-তাবিয়ী ও তাঁদের অনুসারী আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মূলনীতি দুটি: (১) কুরআনের বক্তব্য সরল ও বাহ্যিক অর্থে গ্রহণ করা। কোনোরূপ ঘোরপ্যঁাচ বা তাফসীর-ব্যাখ্যার নামে আক্ষরিক ও সরল অর্থ পরিত্যাগ না করা। (২) কুরআনের সকল বক্তব্য সমানভাবে গ্রহণ ও বিশ্বাস করা। একটি বক্তব্যের অজুহাতে অন্য বক্তব্যকে ব্যাখ্যার নামে অর্থহীন না করা। বরং দুটি বক্তব্যই যথাসম্ভব সরল ও আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করা। শীয়া, খারিজী, মুতাযিলী ও অন্যান্য সম্প্রদায় এক্ষেত্রে তাফসীরের নামে সরল অর্থ ত্যাগ করেছে এবং একটি বক্তব্যের অজুহাতে অন্য বক্তব্য বাতিল করেছে।
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্য মূলনীতি কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা অনুধাবনের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে সাহাবীগণের অনুসরণ করা। তাঁরা যা বলেন নি তা আকীদার মধ্যে সংযোজন না করা।