এ প্রতিনিধি দলটি নিজ কওমের সাদকার অর্থ যা ফকীরদের দেওয়ার পর অতিরিক্ত ছিল তা নিয়ে মদীনায় আগমন করেছিল। এ দলে ১৩ জন লোক ছিল, যারা কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করত এবং শিক্ষা গ্রহণ করত। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কতগুলো কথা জিজ্ঞেস করে। তখন তিনি তাদেরকে সেগুলো লিখে দেন। মদীনায় স্বল্পকাল অবস্থান করে। যখন নাবী কারীম (ﷺ) তাদেরকে উপঢৌকন দ্বারা পুরস্কৃত করেন তখন তারা নিজেদের এক যুবককেও প্রেরণ করে। এ যুবককে তারা শিবিরে রেখে এসেছিল। যুবক খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করল, ‘হে রাসূলুল্লাহ! আল্লাহর কসম! আমাকে আমার অঞ্চল থেকে এছাড়া অন্য কোন বস্তু টেনে আনেনি যে, আপনি আমার জন্য আল্লাহ তা‘আলার সমীপে প্রার্থনা করবেন যেন আল্লাহ নিজ অনুগ্রহ ও রহমতের সঙ্গে আমার সম্পদ আমার অন্তরে নিহিত করে দেন। নাবী কারীম (ﷺ) তার জন্য দু‘আ করলেন। এর ফল হল এ ব্যক্তি সব চাইতে অল্পে তুষ্ট হল। যখন অন্যদের উপর ধর্ম ত্যাগের ঢেউ বয়ে যেতে থাকল তখন শুধু এ ব্যক্তিই ইসলামের উপর সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রইল এবং নিজ কওমের লোকজনদের নসীহত করতে থাকল এর ফলে তারাও ইসলামে প্রতিষ্ঠা লাভ করল। অতঃপর এ দলভুক্ত লোকজনেরা ১০ম হিজরী বিদায় হজ্জের সময় দ্বিতীয়বার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করে।