১৪. বনু ‘আমির বিন সা’সার প্রতিনিধি দল (وَفْدُ بَنِيْ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَة):

এ প্রতিনিধি দলে আল্লাহর শত্রু ‘আমির বিন তুফাইল, লাবীদের বৈমাত্রেয় ভাই আরবাদ বিন কায়স, খালিদ বিন জা’ফার এবং জাব্বার বিন আসলাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরা ছিল নিজ কওমের নেতা এবং শয়তান গোছের লোক। ‘আমির বিন তুফাইল ছিল সে ব্যক্তি যে, ‘বীরে মাউনাহ’তে সত্তর জন্য সাহাবীগণকে (রাঃ) শহীদ করিয়েছিল। এরা যখন মদীনায় আসার ইচ্ছা করল তখন ‘আমির এবং আরবাদ দু’ জনে মিলে ষড়যন্ত্র করল যে, প্রতারণার মাধ্যমে তারা নাবী কারীম (ﷺ)-কে হত্যা করবে। কাজেই, যখন তারা দলবদ্ধভাবে মদীনায় পৌঁছল তখন ‘আমির নাবী কারীম (ﷺ)-এর কথোপকথন আরম্ভ করল এবং আরবাদ পাশ কাটিয়ে নাবী কারীম (ﷺ)-এর পিছন দিকে গিয়ে দাঁড়াল। অতঃপর সে তার তলোয়ার খানা কোষমুক্ত করার চেষ্টা করল। কিন্তু কোষ হতে তলোয়ার খানা একটু বাহির হওয়ার পর আর বের হল না। এভাবে আল্লাহ তাঁর নাবী (ﷺ)-কে হেফাযত করলেন।

নাবী কারীম (ﷺ) তাদের বিরুদ্ধে বদ দু’আ করলেন। যার ফলে তাদের প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে আল্লাহ তা’আলা আরবাদ এবং তার উটের উপর বিজলী নিক্ষেপ করেন যাতে আরবাদ দগ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করে। এদিকে ‘আমির এক সালুলিয়া মহিলার নিকট অবতরণ করল। সে সময় তার গ্রীবাদেশে একটি ফোঁড়া ওঠে এবং তার ফলে তার অবস্থার দারুন অবনতি ঘটায়। সে মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর সময় সে বলতে থাকে ‘আপসোস! উটের ফোঁড়ার ন্যায় ফোঁড়া এবং একজন সালুলিয়া মহিলার ঘরে মৃত্যু?’

সহীহুল বুখারীতে বর্ণিত আছে যে, নাবী কারীম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে ‘আমির বলল, ‘আমি আপনাকে তিনটি কথার অধিকার দিচ্ছি,

আপনার জন্য থাকবে উপত্যকার লোকজন আর আমার জন্য থাকবে জনবসতি।

অথবা আপনার পরে আমি হব খলীফা।

অন্যথায় আমি গাত্বাফানদের দ্বারা এক হাজার ঘোটক এবং এক হাজার ঘোটকী সহ আপনার উপর আক্রমণ চালাব।