জুমআর দিন হল মুসলিমদের সাপ্তাহিক ঈদ। তা ছাড়া এ দিন হল যিক্র ও ইবাদতের দিন। তাই তাতে সাহায্য নিতে এ দিনে রোযা না রাখা মুস্তাহাব। পক্ষান্তরে যদি কেউ জুমআর আগে একদিন অথবা পরে একদিন রোযা রাখে, অথবা তার অভ্যাসের কোন রোযা (যেমন শুক্লপক্ষের শেষ দিন) পড়ে, অথবা ঐ দিনে আরাফা বা আশূরার রোযা পড়ে, তাহলে তার জন্য সেদিনকার রোযা রাখা মকরূহ নয়।
এক জুমআর দিনে জুয়াইরিয়াহ বিনতে হারেষ রোযা রেখেছিলেন। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাঁর নিকট এসে বললেন, ‘‘তুমি কি গতকাল রোযা রেখেছ?’’ তিনি বললেন, ‘জী না।’ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘আগামী কাল রোযা রাখার ইচ্ছা আছে কি?’’ তিনি বললেন, ‘জী না।’ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘তাহলে তুমি রোযা ভেঙ্গে ফেল।’’[1]
আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যেন জুমআর দিন রোযা না রাখে। অবশ্য যদি তার একদিন আগে অথবা পরে একটি রোযা রাখে, তাহলে তা রাখতে পারে।’’[2]
অন্য এক বর্ণনায় বলেন, ‘‘অন্যান্য রাত ছেড়ে জুমআর রাতকে কিয়ামের জন্য খাস করো না এবং অন্যান্য দিন ছেড়ে জুমআর দিনকে রোযার জন্য খাস করো না। অবশ্য কেউ তার অভ্যাসগত রোযা রাখলে ভিন্ন কথা।’’[3]
কাইস বিন সাকান বলেন, ‘আব্দুল্লাহর কিছু সঙ্গী-সাথী জুমআর দিনে রোযা রেখে আবূ যার্র (রাঃ)-এর নিকট গেলে তিনি তাদেরকে বললেন, ‘তোমাদের উপর কসম রইল! তোমরা অবশ্যই রোযা ভেঙ্গে ফেল। কারণ, জুমআহ হল ঈদের দিন।’[4]
[2] (আহমাদ, মুসনাদ ২/৪৯৫, বুখারী ১৯৮৫, মুসলিম ১১৪৪, আবূ দাঊদ ২৪২০, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ১৭৭৩, ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ ৯২৪০নং, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ, বাইহাকী)
[3] (মুসলিম ১১৪৪নং)
[4] (ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ ৯২৪৪নং)