এ বিষয়ে সুন্নত তরীকাগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ
(১) মসজিদে নববী যিয়ারতের সাথে হজ্জ বা উমরার কোন সম্পর্ক নেই। এটা আলাদা ইবাদত। বছরের যে কোন সময় এটা করা যায়। এটা হজ্জের রুকন, ফরয বা ওয়াজিব কিছুই নয়। এটা স্বতন্ত্র মুস্তাহাব ইবাদত। একটি কথা আমাদের মাঝে বহুল প্রচলিত আছে, সেটা হল- ‘‘যে ব্যক্তি হজ্জ করল অথচ আমার যিয়ারতে এল না সে আমার প্রতি জুলুম করল।’’ এ বাক্যটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন হাদীস নয়। এটি মওদূ অর্থাৎ মানুষের তৈরী বানোয়াট কথা।
(২) পবিত্র মসজিদে নববী যিয়ারতের নিয়তে মদ্বীনা মুনাওয়ারা রওনা দেবেন। সেখানে পৌঁছে সালাত আদায়ের পর আপনি নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করবেন। কিন্তু আপনার সফরটি কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে হবে না। কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে লম্বা ও কষ্টসাধ্য সফর করা শরীয়তে জায়েয নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ الرَّسُولِ -صلى الله عليه وسلم- وَمَسْجِدِ الْأَقْصَى
অর্থাৎ, (ইবাদতের নিয়তে) মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদুল আকসা ব্যতীত কঠিন ও কষ্টসাধ্য সফরে যেও না। (বুখারী ১১৮৯)
এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে লম্বা ও কঠিন সফরে যাওয়া বৈধ নয়। কিন্তু সফররত অবস্থায় পথিমধ্যে আপনার কোন আত্মীয় বা কোন অলী-আওলিয়ার কবর সামনে পড়লে আপনি তা যিয়ারত করতে পারেন। মসজিদে নববীতে সালাত আদায়ের বিশেষ ফযীলত রয়েছে। হাদীসে আছেঃ
صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ
অর্থাৎ, আমার এ মসজিদে নববীতে সালাত আদায় অপরাপর মসজিদের এক হাজার সালাতের চেয়েও বেশী সাওয়াব। (ইবনে মাজাহ ১৪০৪)
(৩) মুস্তাহাব হল প্রথমে ডান পা আগে দিয়ে মসজিদে নববীতে প্রবেশ করবেন এবং পড়বেনঃ
أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ - بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ - اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ -
এ দোয়াটি অন্যান্য যে কোন মসজিদে ঢুকার সময়ও পড়া যায়।
(৪) মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকআত দুখুলুল মসজিদ অথবা অন্য যে কোন সালাত আপনি আদায় করতে পারেন। অতঃপর আপনার ইচ্ছা মোতাবেক দোয়া মুনাজাত করতে থাকবেন। উত্তম হলো এগুলো রিয়াদুল জান্নাতে বসে করা। আর এ স্থানটি হলো মসজিদটির মিম্বর থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরের মধ্যবর্তী অংশের জায়গাটুকু। এ স্থানটি সাদা কার্পেট বিছিয়ে নির্দিষ্ট করা আছে। ভীড়ের কারণে সেখানে জায়গা না পেলে মসজিদের যে কোন স্থানে বসে সালাত আদায় ও দোয়া-দরূদ পড়তে পারেন।
(৫) সালাত আদায়ের পর কবর যিয়ারত করতে চাইলে আদব, বিনয়-নম্রতা ও নিচু স্বরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে এভাবে তাঁকে সালাম দিনঃ
السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ - اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ - اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
অথবা এতদসঙ্গে আপনি এভাবেও বলতে পারেনঃ
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ
রাসূলুল্লাহ নিজেই বলেছেনঃ
مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلاَّ رَدَّ اللهُ عَلَيَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ
অর্থাৎ ‘‘যে কেউই আমাকে সালাম দেয় তখনই আললাহ তা‘আলা আমার রূহকে ফেরত দেন, অতঃপর আমি তার সালামের জবাব দেই।’’ (আবূ দাউদ ২০৪১)
(৬) এরপর একটু ডানে অগ্রসর হলেই আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকে সালাম দিবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আর একটু ডানদিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন উমর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকেও সালাম দেবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ উক্ত তিনজনকে আপনি এভাবেও সালাম দিতে পারেনঃ
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ اللهِ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا عُُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশী না বলাই উত্তম। এরপর এ স্থান ত্যাগ করবেন।
(৭) যিয়ারতের সময় অত্যন্ত সাবধান থাকবেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কোন সাহায্য চাওয়া যাবে না। রোগমুক্তি বা কোন মকসূদ পূরণের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা মৃত কবরবাসীদের কাছে কোন কিছু যাওয়া যায় না। চাইতে হবে শুধু আল্লাহ গাফূরুর রাহীমের কাছে। কবরবাসীদের কাছে চাইলে শির্ক হয়ে যাবে। শির্ক করলে সব নেক আমল বাতিল হয়ে যায়। বেহেশত হারাম হয়ে যায়। ফলে জাহান্নামে চিরকাল থাকতে হবে। তবে তাওবাহ করলে আল্লাহ মাফ করে দেবেন। তাছাড়া কবর ও রওজার দেয়াল বা গ্রীল বা অন্য কিছু ভক্তি ভরে স্পর্শ করবেন না। কুরআন ও হাদীসে যা আছে শুধু তাই করবেন। এর চেয়ে কম-বেশী কিছু করা যাবে না।
(৮) মহিলাদের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবর যিয়ারত জায়েয নয়, তাছাড়া অন্য কোন কবরও না।
নবীজি বলেছেনঃ
لَعَنَ اللهُ زَائِرَاتِ القٌبُوْرِ
‘‘যে সব মহিলা কবর যিয়ারত করবে তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হয়।’’ (তিরমিযী ৩২০)
মহিলারা মসজিদে নববীতে নামায পড়তে যাবে এবং নিজ জায়গায় বসেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাম দিবে। যে কোন জায়গা থেকে সালাম পাঠালেও তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রওজায় পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। (ক) হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا وَلاَ تَجْعَلُوا قَبْرِيْ عِيدًا وَصَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ
অর্থাৎ, তোমাদের বাড়ীগুলোকে কবর সদৃশ বানিও না এবং আমার কবরকে উৎসবের কেন্দ্রস্থল করো না। আমার প্রতি তোমরা দুরূদ ও সালাম পেশ কর। কেননা যেখানে থেকেই তোমরা দুরূদ পেশ কর তাই আমার কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। (আবূ দাঊদ ২০৪২)
(খ) অন্য আরেক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
إِنَّ للهِ مَلاَئِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الأَرْضِ يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِي السَّلاَمَ
অর্থাৎ, আল্লাহ তা‘আলার একদল ফেরেশতা রয়েছে যারা পৃথিবী জুড়ে বিচরণ করছে। যখনই আমার কোন উম্মত আমার প্রতি সালাম জানায় ঐ ফেরেশতারা তা আমার কাছে তখন পৌঁছিয়ে দেয়। (নাসায়ী ১২৮২)
(৯) সম্মানিত হাজী ভাই! যেহেতু আল্লাহ আপনাকে মদ্বীনা মুনাওয়ারায় পৌঁছার তাওফীক দিয়েছেন সেহেতু আমাদের পুরুষদের জন্য সুন্নাত হল ‘‘জান্নাতুল বাকী’’ কবরস্থান যিয়ারত করা। এটা মদ্বীনার কবরস্থান। সেখানে শায়িত আছেন উসমান রাদিআল্লাহু আনহুসহ অসংখ্য সাহাবায়ে কিরাম। হামযা রাদিআল্লাহু আনহুসহ উহুদ যুদ্ধের শহীদগণ উহুদ প্রান্তে শায়িত আছেন। যিয়ারতের সময় তাদের সকলের জন্য দোয়া করবেন। তাদের কবর যিয়ারতের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নের এ দোয়াটি পড়তেন যা সহীহ মুসলিমে আছেঃ
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاূءَ اللهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ يَرْحَمُ اللهُ المستقدمين منا والمستأخرين نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ
কবর যিয়ারতে আমাদেরকে উৎসাহিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
زُورُوا الْقُبُورَ فَإِنَّهَا تُذَكِّرُكُمُ الآخِرَةَ
‘‘তোমরা কবর যিয়ারত কর, কেননা এ যিয়ারত তোমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’’(মুসলিম ৯৭৬)
কবর যিয়ারতের মূল উদ্দেশ্য হল, আখেরাতের কথা স্মরণ করা এবং দোয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির উপকার করা। অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মনে রাখতে হবে যে, কোন অবস্থাতেই মৃত ব্যক্তির কাছে কিছুই চাওয়া যাবে না। চাইলে শির্ক হয়ে যাবে আর শির্ক ঈমান থেকে বহিস্কার করে দেয়। ফলে সে আর মুসলিম থাকে না। অতএব যাই আপনি চাইবেন তা শুধু আল্লাহর কাছেই চাইবেন।
(১০) মদ্বীনা শরীফ গমনকারীদের জন্য মুসতাহাব হল ‘‘মসজিদে কুবা’’ যিয়ারত করা এবং সেখানে সালাত আদায় করা। কেননা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কিছুতে আরোহণ করে বা পায়ে হেঁটে যখনই এখানে আসতেন তখন তিনি এখানে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِه، ثُمَّ أَتٰى مَسْجِدَ قُبَاءَ فَصَلَّى فِيهِ صَلاَةً كَانَ لَه، كَأَجْرِ عُمْرَةٍ
‘‘যে ব্যক্তি তার বাড়ীতে পবিত্রতা অর্জন করল, অতঃপর মসজিদে কুবায় এসে সালাত আদায় করল সে একটি উমরা করার সাওয়াব অর্জন করল।’’ (ইবনে মাজাহ ১৪১২)
নিম্নবর্ণিত ত্রুটি বিচ্যুতি চোখে পড়ে।
(১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রওজা যিয়ারতের সময়ে তাঁর কাছে শাফায়াত চাওয়া। এটা ভুল কাজ।
(২) দোয়া করার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কবরের দিকে মুখ করে দাঁড়ানো। শুদ্ধ হলো- কাবার দিকে মুখ রাখা। কবরের দিকে মুখ করে দোয়া করা মর্মে কোন সহীহ হাদীস নেই।
(৩) কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদ্বীনা সফর করা ভুল। শুদ্ধ হলো মসজিদে নববী যিয়ারতের জন্য সফর করা।
নিম্নবর্ণিত ভুল-ত্রুটি করতে দেখা যায়।
(১) আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান আছেন মনে করে। এরূপ মনে করা ভুল। কেননা আল্লাহ উপরে আরশে আছেন। এজন্যই আমরা দু’হাত উপরে উঠিয়ে দোয়া করি।
(২) রোগবালা থেকে মুক্তির নিয়তে মক্কা-মদ্বীনা থেকে পাথর-মাটি বহন করে আনে। এটা ঠিক নয়।
(৩) কেউ কেউ তাবীজ কবজ ব্যবহার করে। এটা শির্ক।
নবীজি বলেছেনঃ
أ-إِنَّ الرُّقى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ
(ক) অর্থাৎ কুফরী ঝাড়ফুঁক, তাবীজ কবজ ব্যবহার ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির জন্য যাদু করা শির্ক। (আবূ দাউদ ৩৮৮৩)
ب-مَنْ عَلَّقَ تَمِيمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ
(খ) যে ব্যক্তি (শরীরে) তাবীজ ঝুলালো সে শির্ক করল। (আহমাদ ১৬৯৬৯)
(৪) নামাযে গাফলতি ও অলসতা প্রদর্শন করা।
(৫) ধূমপান করা।
(৬) দাড়ি কেটে ফেলা।
(৭) বেগানা মেয়েদের সান্নিধ্যে যাওয়া, তাদের সাথে গল্প-গুজব করা, তাদের দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকানো।
(৮) স্মৃতিস্বরূপ হজ্জের ছবি উঠিয়ে আনা।
(৯) অশ্লীল ও ফাহেশা কথা বলা।
(১০) না জেনে মাস্আলা বলা ও ফতোয়া দেয়া এটা ঠিক নয়।
(১১) মেয়েরা পুরুষদের কাছে গিয়ে ভীড় করা।
(১২) হারামে না গিয়ে ঘরে নামায পড়া।
(১৩) কবরের আযাব থেকে বাঁচার নিয়তে যমযমের পানি দিয়ে কাফনের কাপড় ধুয়ে আনা। এটি মারাত্মক ভুল আকীদা।
(১৪) ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ এর কোন কোনটা করে ফেলা।
(১৫) মসজিদে হারাম ও এর দরজা-জানালা মুছে তা নিজের গায়ে মুছা ভুল।
(১৬) মাহরাম পুরুষ ছাড়া মেয়েদের হজ্জে যাওয়া। এটা জায়েয নয়।
(১৭) নিজের হজ্জ আগে না করে অন্যের বদলী হজ্জ করতে যাওয়া। এও জায়েয নয়।