নিম্নবর্ণিত ভুল-ত্রুটি করতে দেখা যায়।
(১) আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান আছেন মনে করে। এরূপ মনে করা ভুল। কেননা আল্লাহ উপরে আরশে আছেন। এজন্যই আমরা দু’হাত উপরে উঠিয়ে দোয়া করি।
(২) রোগবালা থেকে মুক্তির নিয়তে মক্কা-মদ্বীনা থেকে পাথর-মাটি বহন করে আনে। এটা ঠিক নয়।
(৩) কেউ কেউ তাবীজ কবজ ব্যবহার করে। এটা শির্ক।
নবীজি বলেছেনঃ
أ-إِنَّ الرُّقى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ
(ক) অর্থাৎ কুফরী ঝাড়ফুঁক, তাবীজ কবজ ব্যবহার ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির জন্য যাদু করা শির্ক। (আবূ দাউদ ৩৮৮৩)
ب-مَنْ عَلَّقَ تَمِيمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ
(খ) যে ব্যক্তি (শরীরে) তাবীজ ঝুলালো সে শির্ক করল। (আহমাদ ১৬৯৬৯)
(৪) নামাযে গাফলতি ও অলসতা প্রদর্শন করা।
(৫) ধূমপান করা।
(৬) দাড়ি কেটে ফেলা।
(৭) বেগানা মেয়েদের সান্নিধ্যে যাওয়া, তাদের সাথে গল্প-গুজব করা, তাদের দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকানো।
(৮) স্মৃতিস্বরূপ হজ্জের ছবি উঠিয়ে আনা।
(৯) অশ্লীল ও ফাহেশা কথা বলা।
(১০) না জেনে মাস্আলা বলা ও ফতোয়া দেয়া এটা ঠিক নয়।
(১১) মেয়েরা পুরুষদের কাছে গিয়ে ভীড় করা।
(১২) হারামে না গিয়ে ঘরে নামায পড়া।
(১৩) কবরের আযাব থেকে বাঁচার নিয়তে যমযমের পানি দিয়ে কাফনের কাপড় ধুয়ে আনা। এটি মারাত্মক ভুল আকীদা।
(১৪) ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ এর কোন কোনটা করে ফেলা।
(১৫) মসজিদে হারাম ও এর দরজা-জানালা মুছে তা নিজের গায়ে মুছা ভুল।
(১৬) মাহরাম পুরুষ ছাড়া মেয়েদের হজ্জে যাওয়া। এটা জায়েয নয়।
(১৭) নিজের হজ্জ আগে না করে অন্যের বদলী হজ্জ করতে যাওয়া। এও জায়েয নয়।