হজ্জের জন্য যে পশু জবাই হয় তা হল হাদী এবং ঈদুল আযহায় যে পশু জবাই হয় সেটি হচ্ছে কুরবানী।
এটা ওয়াজিব। হাদীকে দমে শুক্রও বলা হয়।
তামাত্তু ও কিরান হাজীদের জন্য।
না, এক্ষেত্রে হাদী লাগবে না। এমনকি রোযাও রাখতে হবে না।
হাঁ। তারা মাক্কার বাসিন্দা বলে গণ্য হবেন।
হাদী মিনায় বা মক্কায় জবাই করা ওয়াজিব। আর কুরবানী নিজ দেশেও দেয়া যাবে। সৌদী আরব সরকারের তত্ত্বাবধানে আই.ডি.বি-র মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর যাবৎ কুরবানী ও হাদীর পশু ক্রয়-বিক্রয়, আমদানী ও জবাই হয়ে থাকে। হাজীরা এখন এ সুযোগ নিয়ে তাদের মুয়াল্লেম বা গ্রুপ লীডারের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে হাদীর পশু ক্রয় ও জবাইয়ের কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। আপনিও তাই দূর-দূরান্ত, অজানা-অচেনা পথে অতীব পরিশ্রমের ঝুকি না নিয়ে পূর্বেই ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে হাদীর পশু জবাইয়ের কাজটা সহজে সেরে ফেলতে পারেন। ফলে পাথর মারা শেষ হলে আপনার পরবর্তী কাজ হবে চুল কাটা।
হাজীদের জন্য হাদী ওয়াজিব, কিন্তু কুরবানী সুন্নাত।
মিনায় বা মাক্কায় দিতে হয়। এর মাংস শুধুমাত্র ফকীর-মিসকীনরা খাবে। দম দাতা এর মাংস খেতে পারবে না।
মাসআলাগুলো নিম্নরূপঃ
(১) পাথর মারা শেষ হলেই পশু জবাই করতে হয়।
(২) পশু জবাইয়ের সময় শুরু হয় ১০ই যিলহজ্জ সূর্যোদয়ের পর থেকে ১৩ই যিলহজ্জ সূর্য ডুবার পূর্ব পর্যন্ত।
(৩) মিনা বা মক্কা উভয় স্থানেই পশু জবাই করা জায়েয।
(৪) পশুটি নিখুঁত, ত্রুটিমুক্ত এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে।
(৫) একজন ব্যক্তি তার নিজের জন্য একাধিক হাদী ও কুরবানী জবাই করতে পারবেন।
(৬) আবার গরু বা উট হলে এক পশুতে ৭ জন শরীক হতে পারবেন।
(৭) জবাইয়ের সময় পশুকে কেবলামুখী করে জবাই করতে হবে।
(৮) পশুটিকে বাম কাত করে ফেলে ডান পাশে পাঁ রেখে মজবুত করে চেপে ধরে জবাই করবেন।
(৯) জবাইর সময় বলবেন, বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।
(১০) কুরবানীর গোশ্ত নিজে খাওয়া, বিতরণ ও দান করা সবই সুন্নাত এবং জমা রাখা জায়িয।
(১১) তিন ভাগের একভাগ গোশ্ত গরীব-মিসকীনদের মধ্যে বিতরণকালে ভাগের মধ্যে পরিমাণে একটু কম-বেশী হলে অসুবিধা নেই।
(১২) অপরিচিত সংস্থা বা অজানা অবিশ্বস্ত লোকের কাছ থেকে কুরবানীর রসিদ কাটবেন না।
ওযর থাকলে কোন অসুবিধা নেই।