নিম্নবর্ণিত ৪টি কাজঃ
(১) কংকর নিক্ষেপ [শুধুমাত্র বড় জামারায়],
(২) কুরবানী করা,
(৩) চুল কাটা
(৪) তাওয়াফ করা অর্থাৎ তাওয়াফুল ইফাদা বা ফরয তাওয়াফ। এ দিনে না পারলে পরবর্তী ২ দিনের মধ্যে বা অন্য যে কোন সময় করলেও চলবে।
বড় জামারায় ৭টি কংকর মারা। মুস্তাহাব হলো এর আগে অন্য কোন কাজ না করা।
হারাম শরীফ থেকে মিনায় আসলে ঐ পথে যেটা কাবার নিকটতম সেটাই বড় জামরা।
আল্লাহ তা‘আলার যিকর কায়েম করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর ঘরে তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ার সাঈ এবং জামারায় পাথর নিক্ষেপ আল্লাহ তা‘আলার যিকর প্রতিষ্ঠা করার জন্যই করা হয়েছে। (তিরমিযী)
ওয়াজিব। এটা ছুটে গেলে দম দিতে হবে।
৭টি করে তিনটি জামারায় মোট (৭×৩)=২১টি কংকর।
সূর্যোদয়ের পর থেকে কংকর মারা উত্তম। ফজরের আউয়াল ওয়াক্ত থেকে সূর্য উঠার আগেও পাথর নিক্ষেপ জায়েয আছে। দুর্বল, শিশু, নারী ও অক্ষম ব্যক্তিরা মধ্যরাত্রির পর থেকে কংকর মারা শুরু করতে পারে।
ঐদিনে কংকর নিক্ষেপের উত্তম সময় হল সূর্যোদয় থেকে শুরু করে দুপুরে সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত। সন্ধ্যা পর্যন্ত মারাও জায়েয আছে। কারণবশতঃ সন্ধ্যার পর থেকে ঐ দিবাগত রাতের ফজর উদয় হওয়ার আগেও যদি মারে তবু চলবে। তবে এ সময়ে মাকরূহ হবে।
শর্তগুলো নিম্নরূপঃ
(১) জামারার খুঁটিকে লক্ষ্য করে কংকর ছুঁড়ে মারতে হবে। অন্যদিকে টার্গেট করে মারলে খুঁটিতে লাগলেও শুদ্ধ হবে না।
(২) ঢিলটি জোরে নিক্ষেপ করতে হবে। সাধারণভাবে কংকরটি সেখানে শুধু ছুয়ায়ে দিলে হবে না।
(৩) কংকরটি পাথর হতে হবে। মাটি বা ইটের টুকরা দিয়ে হবে না।
(৪) কংকরটি হাত দিয়ে নিক্ষেপ করতে হবে। ছেলে-মেয়েদের খেলনা, গুলাল, তীর বা পা দিয়ে লাথি মেরে নিক্ষেপ করলে হবে না।
(৫) সাতটি পাথর হাতের মুঠোয় ভরে একেবারে নয় বরং একটি একটি কংকর হাতে নিয়ে নিক্ষেপ করতে হবে।
(৬) ব্যবহৃত কংকর পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না।
(৭) ওয়াক্ত হলে কংকর নিক্ষেপ করা। এর আগে পরে নয়।
এগুলো নিম্নরূপঃ
(১) মিনায় প্রবেশ করে কংকর নিক্ষেপের আগে অন্য কিছু না করা।
(২) কংকর নিক্ষেপ শুরু করার পূর্বে তালবিয়াহ পাঠ বন্ধ করে দেয়া।
(৩) প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সময় ‘‘আল্লাহু আকবার’’ বলা। ডান হাতে নিক্ষেপ করা। পুরুষের হাত উঁচু করে নিক্ষেপ করা। মেয়েরা হাত উঁচু করবে না।
(৪) কংকরের সাইজ হবে গুলালের গুলির কাছাকাছি বা চানা বুটের দানার চেয়ে একটু বড়।
(৫) প্রথমদিন সূর্যোদয়ের পরে মারা সুন্নাত।
(৬) দাঁড়ানোর সুন্নত হলো মক্কাকে বামপাশে এবং মিনাকে ডানে রেখে ‘জামারার’ দিকে মুখ করে দাঁড়াবে। এরপর নিক্ষেপ করবে। প্রচন্ড ভীড় হলে যে কোন দিকে দাঁড়িয়েও মারতে পারেন।
(৭) একটা কংকর মারার পর আরেকটি মারা। অর্থাৎ দুই কংকরের মধ্যে বেশী সময় না নেয়া।
(৮) কংকরগুলো পবিত্র হওয়া মুস্তাহাব। অপবিত্র হলেও তা দিয়ে নিক্ষেপ করা যাবে। তবে মাকরূহ হবে।