প্রশ্ন-১: সেই তিনটি মূলনীতি কি যা জানা মানুষের উপর ফরয?

উত্তর: তা হল: কোনো বান্দা কর্তৃক তার রবকে, দ্বীনকে এবং নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) কে জানা।

উত্তর: আমার রব আল্লাহ যিনি আমাকে এবং নিখিল বিশ্বকে তার নেয়ামত দ্বারা লালন পালন করছেন, তিনিই একমাত্র আমার মা‘বুদ যিনি ব্যতীত অন্য কোনো মা‘বুদ নেই।

এর প্রমাণ হল আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

﴿ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢ ﴾ [الفاتحة: ٢]

“সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব-জগতের রব্ব।”

আল্লাহ ব্যতীত যা কিছু রয়েছে তা হচ্ছে ‘আলাম বা সৃষ্টিকুল, আর সেই সৃষ্টিকুলের অন্তর্ভুক্ত একজন হচ্ছি আমি।

উত্তর: মালিক, মা‘বুদ, নিয়ন্ত্রক এবং তিনিই একমাত্র যাবতীয় ইবাদতের হক্বদার।

প্রশ্ন-৪: আপনার রবকে কিসের মাধ্যমে জেনেছেন?

উত্তর: আমি তাকে জেনেছি তার নিদর্শন ও তার সৃষ্টির মাধ্যমে। তার নিদর্শনের মধ্যে দিবা রাত্রি, চন্দ্র-সূর্য এবং তার সৃষ্টির মধ্যে সপ্তাকাশ, সপ্ত জমীনসহ এর মধ্যে যা কিছু রয়েছে।

এর প্রমাণ হল, আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

﴿ وَمِنۡ ءَايَٰتِهِ ٱلَّيۡلُ وَٱلنَّهَارُ وَٱلشَّمۡسُ وَٱلۡقَمَرُۚ لَا تَسۡجُدُواْ لِلشَّمۡسِ وَلَا لِلۡقَمَرِ وَٱسۡجُدُواْۤ لِلَّهِۤ ٱلَّذِي خَلَقَهُنَّ إِن كُنتُمۡ إِيَّاهُ تَعۡبُدُونَ ٣٧ ﴾ [فصلت: ٣٧]

অর্থাৎ: এবং তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে রজনী ও দিবস, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না, চন্দ্রকেও নয়; সিজদা কর আল্লাহকে যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন যদি তোমরা তারই ইবাদত কর। [সূরা হা-মীম সিজদা ৩৭]

তিনি আরও বলেন :

﴿ إِنَّ رَبَّكُمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِي خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٖ ثُمَّ ٱسۡتَوَىٰ عَلَى ٱلۡعَرۡشِۖ يُغۡشِي ٱلَّيۡلَ ٱلنَّهَارَ يَطۡلُبُهُۥ حَثِيثٗا وَٱلشَّمۡسَ وَٱلۡقَمَرَ وَٱلنُّجُومَ مُسَخَّرَٰتِۢ بِأَمۡرِهِۦٓۗ أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٥٤ ﴾ [الاعراف: ٥٤]

নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক হচ্ছেন আল্লাহ যিনি আসমান ও জমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি স্বীয় আরশের উপর উঠেছেন। তিনি দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন; যাতে ওরা একে অন্যকে অনুসরণ করে চলে ত্বড়িত গতিতে। সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজী সবই তার হুকুমের অনুগত। জেনে রাখ! সৃষ্টির একমাত্র কর্তা তিনিই, আর হুকুমের একমাত্র মালিক তিনিই, সারা জাহানের রব্ব আল্লাহ হলেন বরকতময়। [সূরা আ‘রাফ ৫৪]

উত্তর: আমার দ্বীন ইসলাম, আর তা হল: আত্মসমর্পণ করা এবং এক আল্লাহর জন্য বিনীত হওয়া।

এর দলীল হল:

﴿ إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلۡإِسۡلَٰمُۗ ﴾ [ال عمران: ١٩]

আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন :

﴿ وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥ ﴾ [ال عمران: ٨٥]

অর্থাৎ: আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম অন্বেষন করে তা কখনই তার নিকট থেকে গৃহীত হবে না এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। [সূরা আল ইমারান ৮৫]

তিনি আরও বলেন:

﴿ ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ ﴾ [المائ‍دة: ٣]

অর্থাৎ: আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার নেয়ামতকে সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম। [সূরা মায়েদাহ ৩]

প্রশ্ন-৬: এ দ্বীন ইসলামকে কিসের উপর ভিত্তি করা হয়েছে?

উত্তর: দ্বীনে ইসলামকে পাঁচটি খুঁটির উপর ভিত্তি করা হয়েছে:

প্রথমত: এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাসনার যোগ্য কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল এবং সালাত কায়েম করা, রমযানের সাওম পালন করা, যাকাত আদায় করা ও সামর্থ্য থাকলে বায়তুল্লাহর হজ্জ করা।

উত্তর: ঈমান হল: আপনি আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করবেন, তার ফেরেশ্তামণ্ডলী, তার কিতাবসমূহ, রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনবেন, শেষ দিবসের উপর ঈমান আনবেন এবং তাকদীরের ভাল মন্দের প্রতি ঈমান আনবেন।

এর প্রমাণ হল আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]

অর্থাৎ: রাসূল তার রব্বের পক্ষ হতে তার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তার উপর ঈমান রাখেন এবং মুমিনগণও, তারা সকলেই আল্লাহকে, তার ফেরেশ্তাগণকে, তার কিতাবসমূহকে এবং তার রাসূলগণকে সত্য বলে ঈমান পোষণ করেন। আমরা ঈমানের ক্ষেত্রে তার রাসূলগণের মধ্যে কাউকে পার্থক্য করি না। [সূরা বাকারা ২৮৫]

উত্তর: ইহ্সান হচ্ছে: আপনি এমন ভাবে আল্লাহর ইবাদত করবেন যেন আপনি তাকে দেখছেন, আপনি যদি তাকে নাও দেখেন তাহলে (মনে করবেন যে) নিশ্চয়ই তিনি আপনাকে দেখছেন।

এর প্রমাণ হল আল্লাহর বাণী:

﴿ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَواْ وَّٱلَّذِينَ هُم مُّحۡسِنُونَ ١٢٨ ﴾ [النحل: ١٢٨]

অর্থাৎ: নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে আছেন এবং যারা ভাল তাদের সাথে। [সূরা নাহল ১২৮]

উত্তর: আমার নবী হচ্ছেন, মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশেম, হাশেম হলেন আরবের কেনানা গোত্রের কুরাইশ বংশের, আর আরবগণ হল ইসমা‘ঈল (আলাইহিস সালাম) এর বংশধর, ইসমাইল হলেন ইব্রাহীম (আ:) এর সন্তান আর তিনি হলেন নূহ (আলাইহিস সালাম) এর সন্তান।

প্রশ্ন-১০: কিসের মাধ্যমে তাকে নবুওয়াত এবং রিসালাত দেওয়া হয়েছে?

উত্তর: اقرأ ইকরা (বা পড়) –এটা নাযিল করার মাধ্যমে তাঁকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছে এবং المدثر আল মুদ্দাস্সির (বা চাদরাবৃত্তকারী) এটা নাযিল করার মাধ্যমে তাঁকে রিসালাত দেওয়া হয়েছে।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »