উত্তরঃ নামাযের সময় প্রবেশ করার পর যদি নারীর ঋতুস্রাব শুরু হয়, যেমন উদাহরণ স্বরূপ যোহরের নামায শুরু হওয়ার আধাঘন্টা পর ঋতুস্রাব আরম্ভ হল, তবে পবিত্র হওয়ার পর এই ওয়াক্তের নামায কাযা আদায় করবে। কেননা সে পবিত্র থাকাবস্থায় তার উপর নামায আবশ্যক হয়েছিল। আল্লাহ বলেনঃ
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا
“নিশ্চয় নির্দিষ্ট সময়ে নামায আদায় করা মু’মিনদের উপর ফরয করা হয়েছে।” (সূরা নিসা- ১০৩) আর ঋতু চলমান অবস্থায় যে সমস্ত নামায পরিত্যাগ করবে, তার কাযা আদায় করবে না। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ একটি হাদীছে তিনি বলেনঃ
أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ
“নারী কি এমন নয় যে, সে ঋতুবতী হলে নামায পড়ে না ও রোযা রাখে না?” সমস্ত উলামায়ে কেরাম একথার উপর ঐকমত্য যে, ঋতু চলাবস্থায় ছুটে যাওয়া ছালাতের কাযা আদায় করতে হবে না।
নারী যদি এমন সময় পবিত্র হয় যখন নামাযের এক রাকাত বা ততোধিক রাকাত আদায় করা সম্ভব, তখন সে সেই নামায আদায় করে নিবে। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الْعَصْرَ
“যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আছরের এক রাকাত নামায আদায় করতে পারবে সে আছর নামায পেয়ে গেল।” যদি আছরের শেষ সময় পবিত্র হয় এবং সূর্যাস্তের জন্য এতটুকু সময় অবশিষ্ট থাকে যখন এক রাকাত নামায আদায় করা সম্ভব, অথবা সূর্যোদয় হওয়ার পূর্বে পবিত্র হয়, যখন কমপক্ষে ফজরের এক রাকাত নামায আদায় করা সম্ভব, তবে উভয় অবস্থায় তাকে গোসল করার পর আছর বা ফজরের নামায কাযা আদায় করতে হবে।