নির্দিষ্ট ও পরিচিত নিয়মে যে নারীর স্রাব নির্গত হচ্ছে, তার উক্ত স্রাব বিশুদ্ধ মতে হায়েয বা ঋতুস্রাব হিসেবে গণ্য হবে। কেননা ঋতুবতী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ কোন বয়স নেই। অতএব ঋতুর নির্দিষ্ট বিধান সমূহ এই নারীর জন্য প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ- নামায, রোযা ও স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকা। স্রাব বন্ধ হলে ফরয গোসল করা এবং ছুটে যাওয়া ছিয়ামের কাযা আদায় করা।
আর যে নারীর হলদে রং বা মেটে রঙ্গের পানি নির্গত হচ্ছে, যদি ইহা ঋতুর নির্দিষ্ট সময়ে বের হয়ে থাকে, তবে তা হায়েয বা ঋতু হিসেবে গণ্য হবে। আর ঋতুর সময়ে না হলে তা হায়েয নয়। কিন্তু তার স্রাব যদি পরিচিত ঋতুস্রাবের মত হয় কিন্তু কখনো আগে হয় কখনো পরে, তাতে কোন অসুবিধা নেই। যখন স্রাব আসবে তখন ছালাত, ছিয়াম প্রভৃতি থেকে বিরত থাকবে আর যখন স্রাব বন্ধ হয়ে যাবে তখন গোসল করে পবিত্র হবে। এসমস্ত কথা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী- ঋতুর জন্য বয়সের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই।
কিন্তু হাম্বলী মাযহাব মতে পঞ্চাশ বছর বয়সের উর্ধে হলে আর ঋতু নেই। যদিও কৃষ্ণ বর্ণের স্রাব নির্গত হয়। তখন সে ছালাত, ছিয়াম, প্রভৃতি যথানিয়মে চালিয়ে যাবে। রক্ত বন্ধ হলে গোসল করার দরকার নেই। কিন্তু এ মতটি বিশুদ্ধ নয়।