প্রাধান্যযোগ্য মত হচ্ছে তায়াম্মুমের জন্য মাটিতে ধুলা লেগে থাকা শর্ত নয়। বরং মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করলেই যথেষ্ট হবে, চাই তাতে ধুলা থাক বা না থাক। অতএব মাটির উপর যদি বৃষ্টি নাযিল হয়, আর ঐ মাটিতে মানুষ হাত মেরে মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করে তবে যথেষ্ট হবে। যদিও মাটিতে কোন ধুলা না থাকে। কেননা আল্লাহ্ বলেন,
فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ مِنْهُ
“তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। স্বীয় হস্তদ্বয় ও মুখমণ্ডল মাটি দ্বারা মুছে ফেল।” (সূরা মায়েদা- ৬) তাছাড়া নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর ছাহাবীগণ কখনো এমন স্থানে সফর করতেন যেখানে বালু ছাড়া অন্য কিছু পাওয়া যেত না। কখনো বৃষ্টিপাত হত। তারপরও তাঁরা আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তায়াম্মুম করতেন। অতএব বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, যে কোন মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করলেই তা বিশুদ্ধ হবে। চাই সেখানে ধুলা থাক বা না থাক।
আল্লাহর বাণী: “তোমাদের মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয় তা দ্বারা মুছে ফেল।” এখানে منه শব্দে مِنْ অব্যয়টি দ্বারা ‘কিছু সংখ্যক’ বুঝানো উদ্দেশ্য নয়। বরং কোন কাজের শুরু বুঝানো হয়েছে। এই জন্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তায়াম্মুমের পদ্ধতি দেখাতে গিয়ে মাটিতে হাত মেরে তাতে ফুঁ দিয়েছেন।