উত্তর: ফজরের পূর্বে পবিত্র হয়েছে এব্যাপারে নিশ্চিত হলে, তার সিয়াম বিশুদ্ধ হবে। কেননা নারীদের মধ্যে অনেকে এমন আছে, ধারণা করে যে পবিত্র হয়ে গেছে অথচ সে আসলে পবিত্র হয় নি। এ কারণে নারীরা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কাছে আসতেন তাদের লজ্জাস্থানে তুলা লাগিয়ে উক্ত তুলার চিহ্ন দেখানোর জন্য যে, তারা কি পবিত্র হয়েছেন? তখন তিনি বলতেন, لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاء ‘তোমরা তাড়াহুড়া করবে না যতক্ষণ না তোমরা ‘কাছ্ছা বাইযা’ (বা সাদা পানি) না দেখ।’ অতএব, নারী অবশ্যই ধীরস্থীরতার সাথে লক্ষ্য করবে এবং নিশ্চিত হবে পূর্ণরূপে পবিত্র হয়েছে কিনা। যদি পবিত্র হয়ে যায় তবে সিয়ামের নিয়ত করে নিবে। ফজর হওয়ার পর গোসল করবে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু সালাতের দিকে লক্ষ্য রেখে দ্রুত গোসল সেরে নেওয়ার চেষ্টা করবে, যাতে করে সময়ের মধ্যেই ফজর সালাত আদায় সম্ভব হয়।
আমরা শুনতে পাই অনেক নারী ফজরের পূর্বে বা পরে ঋতু থেকে পবিত্র হয়, কিন্তু তারা গোসল করতে দেরী করে সালাতের সময় পার করে দেয়। পরিপূর্ণ পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হওয়ার যুক্তিতে সূর্য উঠার পর গোসল করে। কিন্তু এটা মারাত্মক ধরণের ভুল। চাই তা রামাযান মাসে হোক বা অন্য মাসে। কেননা তার ওপর ওয়াজিব হচ্ছে সময়মত সালাত আদায় করার জন্য দ্রুত গোসল সেরে নেওয়া। সালাতের স্বার্থে গোসলের ওয়াজিব কাজগুলো সারলেই যথেষ্ট হবে। তারপর দিনের বেলায় আবারো যদি পরিপূর্ণরূপে অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতার জন্য গোসল করে, তবে কি অসুবিধা আছে? ঋতুবতী নারীর মতো অন্যান্য নাপাক ব্যক্তিগণ (যেমন, স্ত্রী সহবাস বা স্বপ্নদোষের কারণে নাপাক) নাপাক অবস্থাতেই সিয়ামের নিয়ত করতে পারবে এবং ফজর হওয়ার পর গোসল করে সালাত আদায় করবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো স্ত্রী সহবাসের কারণে নাপাক অবস্থাতেই সিয়ামের নিয়ত করতেন এবং ফজর হওয়ার পর সালাতের আগে গোসল করতেন।[1] (আল্লাহই অধিক জ্ঞান রাখেন।)