উত্তর: রামাযানের সাওম রেখে কেউ যদি ভুলক্রমে খানা-পিনা করে তবে তার সিয়াম বিশুদ্ধ। তবে স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে বিরত হওয়া ওয়াজিব। এমনকি খাদ্য বা পানীয় যদি মুখের মধ্যে থাকে এবং স্মরণ হয়, তবে তা ফেলে দেওয়া ওয়াজিব। সিয়াম বিশুদ্ধ হওয়ার দলীল হচ্ছে, আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ نَسِيَ وَهُوَ صَائِمٌ فَأَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللَّهُ وَسَقَاهُ»
“যে ব্যক্তি সাওম রেখে ভুলক্রমে পানাহার করে, সে যেন তার সিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহ্ই তাকে খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন।”[1] তাছাড়া ভুলক্রমে নিষিদ্ধ কাজ করে ফেললে তাকে পাকড়াও করা হবে না। আল্লাহ বলেন رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ “হে আমাদের রব আমরা যদি ভুলে যাই বা ভুলক্রমে কোনো কিছু করে ফেলি, তবে আমাদের পাকড়াও করবেন না।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬] আল্লাহ বলেন, আমি তাই করলাম।
কেউ যদি দেখতে পায় যে ভুলক্রমে কোনো মানুষ খানা-পিনা করছে, তবে তার ওপর ওয়াজিব হচ্ছে, তাকে বাঁধা দেওয়া এবং সিয়ামের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। কেননা তা গর্হিত কাজে বাধা দেওয়ার অন্তর্গত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ»
“যে ব্যক্তি কোনো গর্হিত কাজ হতে দেখবে, সে যেন হাত দ্বারা বাধা প্রদান করে, যদি সম্ভব না হয় তবে যবান দ্বারা বাধা দিবে, যদি তাও সম্ভব না হয় তবে অন্তর দ্বারা তা ঘৃণা করবে।”[2] সন্দেহ নেই সাওম রেখে খানা-পিনা করা একটি গর্হিত কাজ। কিন্তু ভুল ক্রমে হওয়ার কারণে তাকে ক্ষমা করা হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তা দেখবে তার জন্য তাতে বাধা না দেওয়ার কোনো ওযর থাকতে পারে না।
>[2] সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: ঈমান, অনুচ্ছেদ: গর্হিত কাজে বাধা দেওয়া ঈমানের অন্তর্ভূক্ত।