উত্তর: নিকটাত্মীয়ের ব্যাপারে মূলনীতি হচ্ছে: নিকটাত্মীয়ের ব্যয়ভার বহন করা যদি যাকাত প্রদানকারীর উপর ওয়াজিব বা আবশ্যক হয়ে থাকে, তবে তাকে (উক্ত নিকটাত্মীয়কে) যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। কিন্তু সে যদি এমন ব্যক্তি হয় যার খরচ বহন করা যাকাত প্রদানকারীর উপর আবশ্যক নয়, তবে তাকে যাকাত প্রদান করা জায়েয যেমন সহদোর ভাই। যদি ভাইয়ের পুত্র সন্তান থাকে, তবে তার ব্যয়ভার বহন করা অন্য ভাইয়ের উপর আবশ্যক নয়। কেননা তার পুত্র সন্তান থাকার কারণে দু’ভাই পরষ্পর মীরাছ (উত্তরাধিকার) পাবে না। এ অবস্থায় উক্ত ভাই যদি যাকাতের হকদার হয় তবে তাকে যাকাত দেওয়া যাবে।
অনুরূপভাবে নিকটাত্মীয়ের কোনো ব্যক্তি ভরণ-পোষণের ক্ষেত্রে যদি অভাবী না হয়, কিন্তু সে ঋণগ্রস্ত, তবে ঋণ পরিশোধ করার জন্য তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে। যদিও উক্ত নিকটাত্মীয় নিজের পিতা মাতা ছেলে বা মেয়ে হোক। যখন এ ঋণ ভরণ-পোষণে ত্রুটির কারণে নয়।
উদাহরণ: জনৈক ব্যক্তির পুত্র গাড়ি দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার কারণে বড় একটি জরিমানার সম্মুখিন হয়েছে। অথচ তার নিকট জরিমানা আদায় করার মত কোনো অর্থ নেই। এ অবস্থায় তার পিতা নিজের যাকাতের অর্থ পুত্রের ঋণ পরিশোধ করার জন্য প্রদান করলে তা বৈধ হবে। কেননা এ ঋণ ভরণ-পোষণের কারণে নয়। এমনিভাবে কোনো মানুষ যাকাতের কারণ ছাড়া অন্য কারণে যদি কোনো আত্মীয়কে যাকাত থেকে প্রদান করে, তবে তা জায়েয।