চাশতের নামায পড়ার পর ঠিক মাথার উপর সূর্য হওয়ার পূর্বে ৪ রাকআত নফল পড়া সুন্নত। এ নামায মহানবী (ﷺ) পড়তেন। (আহমাদ, মুসনাদ, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৩৭নং)
অনেকের মতে যাওয়ালের পরেও নির্দিষ্ট ৪ রাকআত নামায রয়েছে।
আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) সূর্য ঢলার সময় ৪ রাকআত নামায প্রত্যহ্ পড়তেন। একদা আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি সূর্য ঢলার সময় এই ৪ রাকআত প্রত্যহ্ পড়ছেন?’ তিনি বললেন, “সূর্য ঢলার সময় আসমানের দরজাসমূহ খোলা হয় এবং যোহরের নামায না পড়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয় না। অতএব আমি পছন্দ করি যে, এই সময় আমার নেক আমল (আকাশে আল্লাহর নিকট) উঠা হোক।” আমি বললাম, ‘তার প্রত্যেক রাকআতেই কি ক্বিরাআত আছে?’ তিনি বললেন, “হ্যাঁ।” আমি বললাম, ‘তার মাঝে কি পৃথককারী সালাম আছে?’ তিনি বললেন, “না।” (মুখতাসারুশ শামাইলিল মুহাম্মাদিয়্যাহ্, আলবানী ২৪৯নং)
আব্দুল্লাহ বিন সায়েব বলেন, আল্লাহর রসূল (ﷺ) সূর্য ঢলার পর যোহরের আগে ৪ রাকআত নামায পড়তেন এবং বলেছেন, এটা হল সেই সময়, যে সময় আসমানের দরজাসমূহ খোলা হয়। অতএব আমি পছন্দ করি যে, এই সময় আমার নেক আমল (আকাশে আল্লাহর নিকট) উঠা হোক।” (ঐ ২৫০নং)
কিন্তু অনেকের মতে ঐ নামায যোহরের পূর্বের সুন্নত। অাল্লাহু আ’লাম।