কোন বৈধ বিষয় বা কাজে (যেমন ব্যবসা, সফর, বিবাহের ব্যাপারে) ভালো মন্দ বুঝতে না পারলে, মনে ঠিক-বেঠিক, উচিৎ-অনুচিত বা লাভ-নোকসানের দ্বন্দ্ব হলে আল্লাহর নিকট মঙ্গল প্রার্থনা করতে দুই রাকআত নফল নামায পড়ে নিম্নের দুআ পাঠ করা সুন্নত।
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوْبِ، اَللّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الأَمْرَ(--) خَيْرٌ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ وَعَاجِلِهِ آجِلِهِ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ وَعَاجِلِهِ وَآجِلِهِ فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاقْدُرْ لِىَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رَضِّنِيْ بِهِ।
উচ্চারণ- “আল্লা-হুম্মা আস্তাখীরুকা বিইলমিকা অ আস্তাক্বদিরুকা বি ক্বুদরাতিকা অ আসআলুকা মিন ফায্বলিকাল আযীম, ফাইন্নাকা তাক্বদিরু অলা আক্বদিরু অতা’লামু অলা আ’লামু অ আন্তা আল্লা-মুল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইন কুন্তা তা’লামু আন্নাহা-যাল আমরা (----) খাইরুল লী ফী দ্বীনী অ মাআ’শী অ আ’-ক্বিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ, ফাক্বদুরহু লী, অ য়্যাসসিরহু লী, সুম্মা বা-রিক লী ফীহ্। অইন কুন্তা তা’লামু আন্নাহা-যাল আমরা শারুল লী ফী দ্বীনী অ মাআ’শী অ আ’-কিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ্, ফাস্বরিফহু আ ন্নী অস্বরিফনী আনহু, অক্বদুর লিয়াল খাইরাহাইসু কা-না সুম্মা রায্বযিনী বিহ্।
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার ইলমের সাথে মঙ্গল প্রার্থনা করছি। তোমার কুদরতের সাথে শক্তি প্রার্থনা করছি এবং তোমার বিরাট অনুগ্রহ থেকে ভিক্ষা যাচনা করছি। কেননা, তুমি শক্তি রাখ, আমি শক্তি রাখি না। তুমি জান, আমি জানি না এবং তুমি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। হে আল্লাহ! যদি তুমি এই (---) কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে ভালো জান, তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত ও সহ্জ করে দাও। অতঃপর তাতে আমার জন্য বর্কত দান কর। আর যদি তুমি এই কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে মন্দ জান, তাহলে তা আমার নিকট থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকে ওর নিকট থেকে সরিয়ে দাও। আর যেখানেই হোক মঙ্গল আমার জন্য বাস্তবায়িত কর, অতঃপর তাতে আমার মনকে পরিতুষ্ট করে দাও।
প্রথমে هذا الأمر ‘হা-যাল আমরা’ এর স্থলে বা পরে কাজের নাম নিতে হবে অথবা মনে মনে সেই জ্ঞাতব্য বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করতে হবে।
মহানবী (ﷺ) এই দুআ সাহাবীগণকে শিখাতেন, যেমন কুরআনের সূরা শিখাতেন। আর এখান থেকেই ছোট-বড় সকল কাজেই ইস্তিখারার গুরুত্ব প্রকাশ পায়।
সে ব্যক্তি কর্মে কোনদিন লাঞ্জিত হয় না যে আল্লাহর নিকট তাতে মঙ্গল প্রার্থনা করে, অভিজ্ঞদের নিকট পরামর্শ গ্রহণ করে এবং ভালো-মন্দ বিচার করার পর কর্ম করে। (বুখারী, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ ৩ /৩৪৪)
জ্ঞাতব্য যে, ইস্তিখারার পূর্বে কাজের ভালো-মন্দের কোন একটা দিকের প্রতি অধিক প্রবণতা থাকলে চলবে না। বরং এই প্রবণতা আল্লাহর তরফ থেকে সৃষ্টি হবে ইস্তিখারার পরেই। আর তা একবার করলেই হবে। ৭ বার করার হাদীস সহীহ নয়। (ইবনুস সুন্নী ৫৯৮নং-এর টীকা দ্র:)
প্রকাশ থাকে যে, সুনানে রাতেবাহ্ অথবা তাহিয়্যাতুল মাসজিদ অথবা যে কোন ২ রাকআত সুন্নতের পর রাতের অথবা দিনের (নিষিদ্ধ সময় ছাড়া) যে কোন সময়ে উক্ত দুআ পড়া যায়। উক্ত নামাযের নিয়ম সাধারণ সুন্নত নামাযের মতই।
এ নামাযের প্রত্যেক রাকআতে কোন নির্দিষ্ট পঠনীয় সূরা নেই। যে কোন সূরা পড়লেই চলে। এই নামায অন্য দ্বারা পড়ানো যায় না। যেমন স্বপ্নযোগে স্পষ্ট কিছু দেখাও জরুরী নয়।