ভয় বা বৃষ্টি ছাড়াও অন্য কোন বড় অসুবিধার কারণেও দুই নামাযকে জমা করে পড়া বৈধ। উপর্যুক্ত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীস সে কথাই ইঙ্গিত করে।এ ছাড়া বুখারী ও মুসলিম শরীফের একটি যৌথ বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, মহানবী (ﷺ) মদ্বীনায় যোহ্র ও আসর এবং মাগরেব ও এশাকে জমা করে পড়েছেন। (বুখারী ৫৪৩, মুসলিম, সহীহ)
আব্দুল্লাহ বিন শাকীক বলেন, একদা হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) আসরের পর আমাদের মাঝে বক্তব্য রাখলেন। এই অবস্থায় সূর্য ডুবে গেল এবং আকাশে তারা ফুটে উঠল। আর লোকেরা বলতে লাগল, ‘নামাযের সময় হয়ে গেছে, নামাযের সময় হয়ে গেছে।’
বনী তামীমের এক ব্যক্তি ‘নামায, নামায’ করতে করতে সোজা ইবনে আব্বাসের কাছে এল। তিনি লোকটাকে বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর রসূল (ﷺ)-এর সুন্নত শিখাতে এসেছ? আমি নবী (ﷺ)-কে যোহ্র ও আসর এবং মাগরেব ও এশার নামাযকে একত্রে জমা করে পড়তে দেখেছি।’
আব্দুল্লাহ বিন শাকীক বলেন, ‘তাঁর এ কথায় আমার সন্দেহ্ হলে আমি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। তিনি তাঁর এ কথার সমর্থন করেন।’ (মুসলিম, সহীহ ৭০৫নং)
প্রয়োজনে অসুস্থ অবস্থায়ও বারবার ওযূ করতে বা লেবাস পাল্টে পবিত্রতা অর্জন করতে কষ্ট হলে দুই নামাযকে এক সাথে জমা করে পড়া বৈধ। যেমন মহানবী (ﷺ) ইস্তিহাযাগ্রস্ত (সর্বদা মাসিক আসে এমন) মহিলাকে এক গোসলে দুই নামাযকে এক সাথে জমা করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ৫৬১-৫৬৩নং) অনুরুপ যার সব সময় প্রস্রাব ঝরার রোগ আছে সেও ২ নামাযকে জমা করে পড়তে পারে।