জ্ঞাতব্য যে, ত্বরান্বিত জমা (তাক্বদীম) অপেক্ষা (কষ্ট না হলে) বিলম্বিত (তা’খীর) জমাই উত্তম। এ ছাড়া যখন যার জন্য যেমন সুবিধা তার জন্য সেই জমাই উত্তম। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৪৬১-৫৬৪) অবশ্য প্রথম অক্তে জমা না করলে সে সময়ে জমার নিয়ত জরুরী। নচেৎ, জমার নিয়ত ছাড়া বিনা ওযরে কোন নামাযকে যথাসময় থেকে পার করে দেওয়া হারাম। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৫৭৪)
বলা বাহুল্য, প্রথম অক্তে জমার নিয়ত না রেখে সময় পার হওয়ার পর পরের ওয়াক্তের সাথে জমার নিয়ত সহীহ নয়। বরং এই সময় প্রথম নামায কাযা ও দ্বিতীয় নামায আদায়ের নিয়তে পড়া জরুরী। (ঐ ৪/৫৭৫)
প্রকাশ থাকে যে, কোন ওযরে প্রথম অক্তে দুই নামায জমা করে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়াক্ত আসার আগেই যদি সে ওযর দূর হয়ে যায়; যেমন রোগ ভাল হয়ে যায়, মুসাফির ঘরে ফিরে আসে অথবা বৃষ্টি থেমে যায়, তবুও জমা নামায বাতিল হবে না এবং দ্বিতীয় অক্তে ঐ পড়া নামায আর ফিরিয়ে পড়তে হবে না। এমন কি দ্বিতীয় নামায শেষ হওয়ার আগেই যদি ওযর দূর হয়ে যায় তবুও জমা বাতিল নয়। (ঐ ৪/৫৭৪, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৭/৫৫, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২৬১-২৬২)
মুসাফিরের জন্য জমা ও কসর একই সাথে করা জরুরী নয়। সুতরাং সে জমা না করে কেবল কসর এবং কসর না করে জমাও করতে পারে। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১২/৮৮)