মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি বড় দয়াবান, বড় অনুগ্রহশীল। তিনি বান্দার কষ্ট চান না। তাই অনুগ্রহ করেই বিধান দিয়েছেন দুই সময়ের নামাযকে প্রয়োজনে এক সময়ে একত্রিত করে পড়ার। অনুমতি দিয়েছেন আগের নামাযকে পরের সাথে (বিলম্ব করে) অথবা পরের নামাযকে আগের সাথে (ত্বরান্বিত করে) পড়ার।

অবশ্য এ কেবল সীমাবদ্ধ নামাযের মাঝেই সম্ভব। যেমন, যোহ্‌র ও আসর এক সাথে এবং মাগরেব ও এশা এক সাথে দুটির মধ্যে একটির সময়ে জমা করে পড়া যাবে। পক্ষান্তরে ফজরের নামাযকে আগে-পরের কোন নামাযের সাথে জমা করে পড়া যাবে না। যেমন পড়া যাবে না আসর ও মাগরেবের নামাযকে এক সাথে জমা করে। অনুরুপ জুমআর নামায যোহ্‌র থেকে পৃথক। অতএব জুমআর সাথে আসরের নামাযকে জমা করে পড়া যাবে না। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৫৭২-৫৭৩)