জামাআতে শামিল হয়ে কাযা নামায পড়ার পর সময় অভাবে যে নামায একাকী বা দ্বিতীয় জামাআতে আদায় করা সম্ভব নয়, সে নামায জামাআতেই আদায় করা জরুরী। আর এ ক্ষেত্রে তরতীব বিবেচ্য নয়। যেমন, কেউ জুমআর নামায পড়তে এসে জামাআত খাড়া দেখে তার ফজরের নামায কাযা আছে তা মনে পড়ল। এখন তরতীব বজায় রেখে জামাআতে ফজরের কাযা আদায় করার নিয়তে শামিল হলে পরে একাকী বা দ্বিতীয় জামাআতে জুমআর নামায পড়া সম্ভব নয়। অতএব তখন সে জুমুআহ পড়ার নিয়তেই জামাআতে শামিল হবে এবং তার পরই ফজরের নামায কাযা পড়তে পারবে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ২/১৪১)
তদনুরুপ বর্তমান নামাযের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও তরতীব বিবেচ্য নয়। যেমন, এক ব্যক্তি ফজরের নামায পড়তে এমন সময় উঠল যখন সূর্য উঠতে চলেছে। এই সময় তার মনে পড়ল যে, তার এশার নামায কাযা আছে। তখন কাযা পড়তে গেলে সূর্য উঠে যাবে এবং ফজরের নামাযও কাযা হয়ে যাবে। সুতরাং দু’টো নামাযকে কাযা না করে ফজরের নামায তার যথা (শেষ) সময়ে আদায় করে তারপর এশার নামায কাযা পড়বে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ২/১৪০-১৪১, তুহ্ফাতুল ইখওয়ান, ইবনে বায ৬৬পৃ:, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ৫/২৯৭)
একইভাবে আসরের নামাযের শেষ সময়ে যোহ্র কাযা আছে মনে পড়লে, আসর আগে পড়ে তারপর যোহ্র পড়তে হবে। যাতে আসরও কাযা না হয়ে যায়।
বর্তমান নামায পড়তে শুরু করার পর অথবা পড়ে নেওয়ার পর পূর্বের নামায কাযা আছে মনে পড়লে আর তরতীব বিবেচ্য নয়। ভুলের জন্য তা ক্ষমার্হ হবে; ধর্তব্য হবে না। অতএব বর্তমান নামায শেষ করে কাযা নামায পড়ে নিতে হবে। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ৫/২৯৭)