সূরা ফাতিহার পর নামাযী তার নিজের মুখস্থ ও সহ্জ মত অন্য যে কোন একটি সূরা পাঠ করতে পারে। অবশ্য কতকগুলি বিশিষ্ট সূরা মহানবী (ﷺ) বিশেষ নামাযে পাঠ করতেন বলে অনুরুপ পাঠ করাকে সুন্নতী ক্বিরাআত বলে। এ সকল নামায ও সূরার বিস্তারিত বিবরণ জানার পূর্বে কুরআন মাজীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কয়েকটি পরিভাষা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
কুরআন মাজীদকে ৭ ভাগে বিভক্ত করলে শেষ ভাগে যে সব সূরা পড়ে তার সমষ্টিকে ‘মুফাস্স্বাল’ বলা হয়। ‘ফাস্ৱল’ মানে পরিচ্ছেদ। এই অংশে সূরা ও পরিচ্ছেদের সংখ্যা অধিক বলে একে ‘মুফাস্স্বাল’ বা পরিচ্ছেদ-বহুল অংশ বলা হয়ে থাকে। সঠিক অভিমত অনুসারে এই অংশের প্রথম সূরা হল সূরা ক্বাফ।
এই মুফাস্স্বাল আবার ৩ ভাগে বিভক্ত; সূরা ক্বাফ থেকে সূরা মুরসালাত পর্যন্ত অংশকে ‘ত্বিওয়ালে মুফাস্স্বাল’ (দীর্ঘ পরিচ্ছেদ-বহুল অংশ), সূরা নাবা থেকে সূরা লাইল পর্যন্ত অংশকে ‘আউসাত্বে মুফাস্স্বাল’ (মাঝারি পরিচ্ছেদ-বহুল অংশ), আর সূরা য্বুহা থেকে শেষ সূরা (নাস) পর্যন্ত অংশকে ‘ক্বিসারে মুফাস্স্বাল’ (ছোট পরিচ্ছেদ-বহুল অংশ) বলা হয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/১০৫)