যে নামাযে ক্বিরাআত সশব্দে ও জোরে হয় তাকে জেহরী এবং যাতে নিঃশব্দে ও চুপেচুপে হয় তাকে সির্রী নামায বলা হয়।

ফজর ও জুমআর উভয় রাকআতে এবং মাগরিব ও এশার প্রথম দু’ রাকআতে জেহরী, আর যোহ্‌র ও আসরের সকল রাকআতে এবং মাগরেবের শেষ এক ও এশার শেষ দুই রাকআতে সির্রী ক্বিরাআত বিধেয়।

সাধারণ সুন্নত ও নফল নামাযের ক্বিরাআত সির্রী। বাকী নামাযের ক্বিরাআত বিষয়ক মসলা যথাস্থানে আলোচিত হবে ইন শা আল্লাহ।

নামাযী একাকী হলেও জেহরী নামাযে জেহরী ক্বিরাআত তার জন্য সুন্নত। অবশ্য সে এমন জোরে ক্বিরাআত করতে পারে না, যাতে অপর নামাযী, যিক্‌রকারী বা নিদ্রিত ব্যক্তির ডিষ্টার্ব হয়। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২৬৯)

মহিলার ক্বিরাআতের শব্দ তার কোন বেগানা পুরুষ শুনতে পাবে -এই আশঙ্কা থাকলে সে জেহরী ক্বিরাআত করতে পারে না। এমন আশঙ্কা না থাকলে তার জন্যও জেহরী নামাযে জেহরী ক্বিরাআত সুন্নত। (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ১/৩৫৩)

সির্রী নামাযে যদি কেউ জেহরী ক্বিরাআত ভুল করে করেই ফেলে, তাহলে তার জন্য শেষে আর সহু সিজদার প্রয়োজন নেই। যেহেতু কোন সুন্নত ত্যাগ বা মাকরুহ আমল করে ফেললে সহু সিজদার দরকার হয় না। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ১৬/১৩৭)

জেহরী নামাযের ক্বিরাআত জোরে, সির্রী নামাযের ক্বিরাআত চুপেচুপে এবং কতক জেহরী নামাযের কয়েক রাকআতে সির্রী ক্বিরাআত কেন হল তার হিকমত ও যুক্তি স্পষ্ট নয়। যেমন যোহ্‌র, আসর ও এশার নামায চার রাকআত, মাগরেবের তিন রাকআত এবং ফজরের দুই রাকআত কেন হল তারও কোন সঠিক জওয়াব নেই। সুতরাং এ সবের হিকমত আল্লাহই জানেন।