প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ নফল সিয়াম অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম ২৬ টি
সুন্নাত ও নফল সিয়ামের মর্যাদা কেমন?

এ জাতীয় সিয়াম পালন করলে প্রচুর সাওয়াব অর্জিত হয়। আর না করলে কোন গুনাহ হয় না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নিয়মিত সুন্নাত ও নফল সিয়াম পালন করতেন?

না নিয়মিত করেন নি। কিন্তু যখন সিয়াম শুরু করতেন তখন বিরতিহীনভাবে পালন করতেন। সাহাবারা তখন মনে করতেন সুন্নাত সিয়াম বোধ হয় আর ত্যাগ করবেন না। আবার যখন সিয়াম পরিত্যাগ করতেন তখন সাহাবাদের মনে হতো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোধ হয় আর এসব সিয়াম পালন করবেন না।

নফল সিয়াম কোন মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি করতেন?

শাবান মাসে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জীবনে কী কী সুন্নাত ও নফল সিয়াম পালন করেছেন?

নিম্ন বর্ণিত সিয়াম তিনি পালন করছেন :

১. শাওয়াল মাসের ৬টি রোযা

২. যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশকের সিয়াম

৩. আরাফার দিনের সওম

৪. মুহররম মাসের সওম

৫. আশুরার সিয়াম

৬. শাবান মাসের সওম

৭. প্রতি মাসে ৩ দিন সিয়াম

৮. সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম

৯. একদিন পর পর সিয়াম

১০. বিবাহে অসমর্থদের সিয়াম।

শাওয়াল মাসের ৬টি সিয়াম পালনের ফযীলত জানতে চাই।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ

‘‘যে ব্যক্তি রমযান মাসে ফরয সিয়াম পালন করল, অতঃপর শাওয়াল মাসেও আরো ৬ দিন সওম পালন করল সে ব্যক্তি যেন সারা বছর ধরে রোযা রাখল।’’ (মুসলিম : ১১৬৪)

কোন উযরবশত যদি ফরয রোযা কাযা হয়ে যায় তাহলে কাযা রোযা আগে রাখবে নাকি সুন্নাতের ৬ রোযা আগে রাখবে?

কাযা রোযা আগে রাখবে।

শাওয়ালের ৬টি রোযা কি একাধারে রাখব, নাকি মাঝে বিরতি দেয়া যাবে?

মাঝখানে বিরতি দেয়া যাবে। তবে একাধারে বিরতিহীনভাবে রাখলে সাওয়াব বেশি পাবে।

শাওয়ালে ৬টি রোযা উক্ত মাসে আদায় করতে পারে নি। পরের মাসে এগুলো কাযা করতে পারবে কি?

না, এ সুন্নাত সিয়াম কাযা করার নিয়ম নাই।

যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশকের দিনগুলোতে সিয়াম পালন ও অন্যান্য ইবাদতের ফযীলত জানতে চাই।

এ দিনগুলোতে কৃত ইবাদতের ফযীলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهَا أَحَبُّ إِلٰى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ هٰذِهِ الأَيَّامِ الْعَشْرِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيْلِ اللهِ فَقَالَ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ إِلاَّ رَجُلاً خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذلِكَ بِشَيْءٍ

যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে কাছে এত বেশি প্রিয় ও মর্যাদাসম্পন্ন যার সমতুল্য বছরে আর কোন দিন নেই। এ কথা শুনে সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করাও কি এর ক্কক্ষ হবে না?’’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর করলেন, ‘‘না, তাও হবে না।’’ তবে সে ব্যক্তি জিহাদে গিয়েছে, এ কাজে অর্থ ব্যয় করেছে, জীবন ও বিলিয়ে দিয়েছে (জান ও মাল সবকিছু বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর কাছে চলে গেছে, বাড়ীতে পরিবার-পরিজনের কাজে) আর ফিরে আসতে পারে নি, অবশ্য তার পুরস্কার ভিন্ন। (আহমাদ : ১৯৬৯)

যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ যেদিন হাজীরা আরাফাতের মাঠে সমবেত হন।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »