বিতরের সালাতের সর্বনিম্ন সংখ্যা হল এক রাক‘আত এবং সর্বোচ্চ হল ১১ রাকআত।
(ক) বিতরের সালাত ১ রাকআত পড়াও জায়েয আছে। আল্লাহ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
مَنْ أَحَبُّ أَن يُّؤْتِرَ بِوَاحِدَةٍ فَلْيَفْعَلْ
অর্থাৎ কেউ যদি ১ রাকআত বিতর পড়তে চায়, তা সে করতে পারে। (আবূ দাউদ : ১৪২২; নাসাঈ : ১৭১২)
(খ) আবার তিন রাকআত বিতর পড়া যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
مَنْ أَحَبَّ أَن يُّؤْتِرَ بِثَلاَثٍ فَلْيَفْعَلْ
‘‘যে ব্যক্তি বিতরের সালাত ৩ রাকআত পড়তে চায়, তা সে পড়তে পারে।’’ (আবূ দাউদ : ১৪২২; নাসাঈ : ১৭১২)
(গ) বিতর ৫ রাক‘আতও পড়ার নিয়ম আছে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
مَنْ أَحَبَّ أَن يُّؤْتِرَ بِخَمْسٍ فَلْيَفْعَلْ
‘‘কেউ ৫ রাকআত বিতর পড়তে চাইলে তা সে পড়তে পারে।’’ (আবূ দাউদ : ১৪২২; নাসাঈ : ১৭১২)
এভাবে ৭ বা ৯ বা ১১ রাকআত পর্যন্ত বিতরের সালাত আদায় করার সুযোগ আছে, জায়েয আছে।
(ক) এক সালামে বিতর পড়ার দলীল :
মিসওয়ার বিন মাখরামা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
دَفَنَّا أَبَا بَكْرٍ لَيْلًا , فَقَالَ عُمَرُ: «إِنِّي لَمْ أُوتِرْ , فَقَامَ وَصَفَفْنَا وَرَاءَهُ , فَصَلَّى بِنَا ثَلَاثَ رَكَعَاتٍ , لَمْ يُسَلِّمْ إِلَّا فِي آخِرِهِنَّ»
রাতের বেলা আমরা আবূ বাকার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কে দাফন করলাম। অতপর উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, ‘আমি বিতর পড়িনি। এই বলে তিনি দাঁড়ালেন আর আমার তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে গেলাম। এরপর তিনি আমাদের নিয়ে ৩ রাকআত বিতর পড়তেন। শেষ রাকআতের আগে তিনি সালাম ফিরাতেন না (এক সালামে তিন রাকাত বিতর পড়তেন)। (ত্বহাবী : ১৭৪২)
(খ) দু’ সালামে বিতর পড়ার দলীল :
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ كَانَ يُسَلِّمُ بَيْنَ الرَّكْعَةِ وَالرَّكْعَتَيْنِ فِي الْوِتْرِ حَتَّى بِأَمْرِ بِبَعْضِ حَاجَتِهِ
আবদুল্লাহ ইবনে ‘উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু (বিতরে সালাত) প্রথম দুই রাকআত শেষ করে সালাম ফিরাতেন এবং পরে শেষ (তৃতীয়) রাকআতে আবার সালাম ফিরাতেন। প্রথম দুই রাকআতের সালাম ফিরানের পর প্রয়োজনে কোন কাজের নির্দেশও দিতেন। (বুখারী : ৯২১)
ইমাম বিতর শেষ না করা পর্যন্ত জামাআত ছেড়ে চলে যাওয়া ঠিক নয়। কারণ বিতর দ্বারা পুরো রাত্রি জাগরণের অর্থাৎ কিয়ামুল্লাইলের পূর্ণ সওয়াব অর্জিত হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
أَنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإمَام حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ
অর্থাৎ ইমাম নামায শেষ না করা পর্যন্ত যে ব্যক্তি ইমামের সাথে (জামাআতে) তারাবীহ পড়ল তার জন্য পূর্ণ রাত নফল পড়ার সাওয়াব লেখা হয়ে গেল। (তিরমিযী : ৮০৬)