নিম্নোক্ত যে কোন কারণ দেখা গেলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে :
১. ইচ্ছা পূর্বক পানাহার ও ধুমপান করা।
২. স্বেচ্ছায় বমি করা
৩. স্বামীস্ত্রীর মিলন
৪. বৈধ অবৈধ যে কোন প্রকার যৌনক্রিয়া।
৫. পানাহারের বিকল্প কিছু গ্রহণ করা, যেমন- ইনজেকশান বা রক্ত গ্রহণ করা। আর তা এমন ইনজেকশান যার মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হয়।
৬. মাসিক স্রাব ও প্রসবোত্তর স্রাব
না, ভাঙ্গবে না।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا نَسِيَ فَأَكَلَ وَشَرِبَ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللَّهُ وَسَقَاهُ
১. যদি কেউ ভুলক্রমে পানাহার করে তবে সে যেন তার সিয়াম পূর্ণ করে নেয়, কেননা আল্লাহ তা‘আলাই তাকে এ পানাহার করিয়েছেন (অর্থাৎ এতে তার রোযা ভাঙ্গেনি)। (বুখারী: ১৯৩৩; মুসলিম: ১১৫৫)
مَنْ أَفْطَرَ فِيْ رَمَضَانَ نَاسِيًا فَلاَ قَضَاءَ عَلَيْهِ وَلاَ كَفَّارَةَ
২. যে ব্যক্তি ভুল বশতঃ রমাযানের দিনে বেলায় কিছু খেয়ে ফেলল : সেজন্য কোন কাযা ও কাফফারা দিতে হবে না। (দারাকুতনী: ২৪; বায়হাকী: ৭৮৬৩)
না, ভঙ্গ হবে না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
إِنَّ اللهَ وَضعَ عَنْ أُمَّتِى الْخَطَأ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتَكْرَهُوْا عَلَيْهِ
‘‘আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মাতের ভুল-ভ্রান্তি ও বাধ্য হয়ে ঘটে যাওয়া পাপরাশি মাফ করে দিবেন। (ইবন মাজা : ২০৪৫)
এ সিয়াম আবার কাযা করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
مَنْ ذرعه قىء فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءً وإن استقاء فليقض
যে ব্যক্তি অনিচ্ছা বমি করল তাকে উক্ত সিয়াম কাযা করতে হবে না। কিন্তু যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করল তাকে উক্ত সিয়াম অবশ্যই কাযা করতে হবে। (আবূ দাঊদ : ২৩৮০)
এতে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এর ফলে কাযাও করতে হবে এবং কাফফারাও দিতে হবে।
(ক) একদিনের রোযার জন্য একাধারে দু’মাস রোযা রাখতে হবে। মাঝখানে একদিন বাদ গেলে এর পরের দিন থেকে আবার একাধারে পূর্ণ দু’ মাস রোযা রাখতে হবে। অথবা
(খ) ষাটজন মিসকিনকে এক বেলা আহার করাতে হবে।
উভয়েই কাযা করবে এবং কাফফারা দিবে। তবে স্ত্রীকে যদি জোরপূর্বক সঙ্গম করে থাকে তাহলে কাযা ও কাফফারা দিবে শুধু স্বামী, স্ত্রী নয়।
উল্লেখ্য যে, বৈধ ও অবৈধ যে কোন উপায়ে বীর্যপাত ঘটানো হলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
হা, তা জায়েয আছে।
(ক) রক্তশূন্যতা পূরণ জনিত ইনজেকশান
(খ) শক্তি বর্ধক ইনজেকশান
(গ) স্যালাইন ও পানাহারের স্থলাভিষিক্ত ইনজেকশান। এর কোন একটা পুশ করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
তবে শুধুমাত্র ঔষধজনিত হলে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।
দিবসের শুরু বা শেষ যে কোন অংশে স্রাব শুরু হলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
শুরু না হওয়া পর্যন্ত ভঙ্গ হবে না।