ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহ. ‘ইগাসাতুল লাহফান’: (১/২৪২, ২৪৮, ২৬৪ ও ২৬৫) গ্রন্থে বলেন: “শয়তানের একটি ষড়যন্ত্র, যার দ্বারা সে দুর্বল দীনদার, সামান্য বিবেক ও অল্প ইলমের ধারকদের ষড়যন্ত্রের জালে আবদ্ধ করে, মূর্খ ও বাতিলপন্থীদের অন্তর শিকার করে, তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মুখের শীষ, হাততালি ও হারাম বাদ্য-যন্ত্রসহ গান, যা অন্তরকে কুরআন থেকে বিমুখ করে পাপাচার ও অপরাধে জড়িত করে। এগুলো মূলত শয়তানের কুরআন ও রহমান থেকে কঠিন অন্তরায়, যিনা ও সমকামিতার মন্ত্র। এসব দ্বারা পাপাচারী আশেক তার প্রেমিকা থেকে চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হাসিল করে... অতঃপর তিনি বলেন: নারী ও কিশোরদের কণ্ঠ থেকে এসব শ্রবণ করা আরো হারাম ও দীনকে কঠিনভাবে ধ্বংসকারী... অতঃপর বলেন: এতে সন্দেহ নেই যে, আত্মসম্মানী লোক স্বীয় পরিবারকে গান থেকে দূরে রাখে, যেমন তাদেরকে দূরে রাখে সন্দেহপূর্ণ বস্তু থেকে। তিনি আরো বলেন: প্রেমিক ও আশেক মহলে প্রচলিত যে, তাদের জন্য নারীকে হাসিল করা কঠিন হলে তারা নারীকে গান শোনাতে চেষ্টা করে, তখন সে বিগলিত হয়। কারণ, নারীরা আওয়াজ দ্বারা দ্রুত প্রভাবিত হয়। গানের আওয়াজ তাদের অনুভূতি শক্তিকে দু’ভাবে ক্রিয়াশীল করে: শব্দ ও অর্থ উভয় দিক থেকে। তিনি বলেন: এসবের সাথে যদি দফ, যুবতী ও নাচ সঙ্গী হয়, তাহলে তো জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করে। যদি নারীরা গান দ্বারা গর্ভবতী হত, তবে অবশ্যই এসব গান তার উপযুক্ত ছিল। আল্লাহর কসম, গানের কারণে বহু সম্ভ্রান্ত নারী পতিতা হয়েছে!!” সমাপ্ত।
হে মুসলিম নারী তুমি আল্লাহকে ভয় কর, চরিত্র বিনষ্টকারী রোগ অর্থাৎ গান শ্রবণ থেকে দূরে থাক, যা মুসলিম সমাজে বিভিন্ন পদ্ধতি ও উপায়ে ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে, আর মূর্খ নারীরা তা সংগ্রহ করে নিজেদের মাঝে আদান-প্রদান করছে।