প্রটেস্ট্যান্ট বাইবেলের ৩৭ ও ৩৯ নং, ক্যাথলিক বাইবেলের ৪৪ ও ৪৬ নং ও হিব্রু বাইবেলের ২৪ ও ২৬ নং পুস্তক হগয় (Haggai) ও মালাখি (Malachi)। হগয় পুস্তকের ২/৬-৯ নিম্নরূপ:
‘‘কেননা বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, আর একবার, অল্পকালের মধ্যে, আমি আসমান ও জমিনকে এবং সমুদ্র ও শুকনো ভূমিকে কাঁপিয়ে তুলব। আর আমি সর্বজাতিকে কাঁপিয়ে তুলব; এবং সর্বজাতির মনোরঞ্জন বস্ত্ত সকল আসবে (the desire of all nations shall come); আর আমি এই গৃহ প্রতাপে পরিপূর্ণ করবো, এ কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন। রূপা আমার, সোনাও আমারই, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন। এই গৃহের আগের প্রতাপের চেয়ে এর পরের প্রতাপ অনেক বেশি হবে (The glory of this latter house shall be greater than of the former পরবর্তী এ ঘরের মর্যাদা পূর্ববর্তী ঘরের চেয়ে অধিক হবে), এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন; আর এই স্থানে আমি শান্তি নিয়ে আসব (in this place will I give peace), এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন।’’ (হগয় ২/৬-৯, মো.-১৩)
সুপ্রিয় পাঠক, এ ভবিষ্যদ্বাণী অনুধাবনের জন্য আমাদের একটু পিছনে ফিরতে হবে। আমরা ইতোপূর্বে দ্বিতীয় অধ্যায়ে তৌরাতের পাণ্ডুলিপি বিনষ্ট হওয়ার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে দেখেছি যে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫৮৭/৫৮৬ সালের দিকে ব্যাবিলনের সম্রাট নেবুকাদনেজার বা বখত নসর জেরুজালেম ও মাসজিদুল আকসা সম্পূর্ণ ধ্বংস করেন এবং ইহুদিদের বন্দি করে ব্যবিলনে নিয়ে যান। কয়েক দশক পরে পারস্যের বাদশাহ সাইরাসের সময়ে শল্টীয়েলের পুত্র সরুববাবিল (zerubbabel the son of shealtiel) খ্রি. পূ. ৫৩৮ থেকে ৫২০ সালের মধ্যে প্রায় ৪২ হাজার ইহুদিকে নিয়ে জেরুজালেমে ফিরে আসেন এবং মাসজিদুল আকসা পুনর্নির্মাণ করেন। তাঁর নির্মিত এ মাসজিদকে ‘দ্বিতীয় মন্দির’ (Second Temple) বলা হয়। নির্বাসন প্রত্যাগত ইহুদিরা এ নতুন মসজিদের কাছে কাঁদাকাটি করতেন। এ সময়েই মাসজিদুল আকসা বা শলোমনের মন্দিরের আগত মর্যাদা বিষয়ে এ সকল ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। আমরা দেখছি যে, এখানে তিনটা বিষয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে: (১) সকল জাতির মনোরঞ্জনের বস্ত্ত এবং প্রভুর দূতের আকস্মিক মাসজিদে আকসায় আগমন এবং (২) সুলায়মান (আ) নির্মিত মাসজিদের চেয়ে সরুববাবিল নির্মিত মাসজিদের মর্যাদা অধিক হওয়া এবং (৩) মাসজিদে আকসায় শান্তি প্রতিষ্ঠা।
প্রফেসর রেভারেন্ড ডেভিড বেঞ্জামিন লেখেছেন, ‘desire’ বা মনোরঞ্জন বলতে হিব্রিম্ন ও আরামাইক পাণ্ডুলিপিতে ‘হিমদাহ’ (Himdah) এবং ‘শান্তি’ বোঝাতে শ্যালম (Shalom) শব্দ ব্যবহৃত। তাঁর মতে, এখানে মিরাজের মাধ্যমে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর জেরুজালেম আগমন, তাঁর উম্মাতের মাধ্যমে মাসজিদুল আকসার পুনর্নিমাণ এবং তথায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। তিনি বলেন:
Indeed, here is a wonderful prophecy confirmed by the usual biblical formula of the divine oath, ‘says the Lord Sabaoth’ four times repeated. If this prophecy be taken in the abstract sense of the words himda and shalom as "desire" and "peace," then the prophecy becomes nothing more than an unintelligible aspiration. But if we understand by the term himda a concrete idea, a person and reality, and in the word shalom, not a condition, but a living and active force and a definitely established religion, then this prophecy must be admittedly true and fulfilled in the person of Ahmed and the establishment of Islam. For himda and shalom - or shlama have precisely the same significance respectively as Ahmed and Islam.
‘‘সত্যিই এখানে একটা আকর্ষণীয় ভবিষ্যদ্বাণী বিদ্যমান। ঐশ্বরিক শপথের জন্য বাইবেলের সুপরিচিত পরিভাষা: ‘বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন’। এ শপথটা এখানে চারবার উল্লেখ করে ভবিষ্যদ্বাণীটাকে নিশ্চিত করা হয়েছে। যদি হিমদা ও শ্যালম শব্দদু’টার আভিধানিক অর্থ মনোরঞ্জন ও শান্তিকে ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে গ্রহণ করা হয় তবে এটা একটা অনুধাবন-অযোগ্য আকাঙ্খা ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু আমরা যদি ‘হিমদা’ শব্দ থেকে একটা স্পর্শগ্রাহ্য ধারণা, একটা ব্যক্তি ও বাস্তবতা বুঝি, এবং শ্যালম শব্দ থেকে একটা অবস্থা না বুঝে একটা প্রাণবন্ত ও কার্যকর শক্তি এবং সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত একটা ধর্ম বুঝি তবে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, এ ভবিষ্যদ্বাণীটা আহমদের ব্যক্তিত্বে এবং ইসলামের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সত্য ও পরিপূর্ণ হয়েছে। কারণ হিমদা ও শ্যালম বা শস্নামা অবিকল আহমদ ও ইসলাম-এর অর্থই বহন করে।’’[1]
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, হিব্রু শ্যালম ও আরবী ইসলাম একই মূল থেকে আগত। আর হিব্রু হিমদা অর্থ প্রবল আকাঙ্খা বা লোভ এবং আরবী হামদ অর্থ প্রশংসা। আর যার আকাঙ্খা বা লোভ করা হয় তারই প্রশংসা করা হয়। আর আহমদ বা মনোরঞ্জনের জেরুজালেমের মাসজিদে আগমন অনুধাবনের জন্য মালাখির ভবিষ্যদ্বাণীটা পড়তে হবে। মালাখি পুস্তকের ৩য় অধ্যায়ের ১ম শ্লোক নিম্নরূপ:
‘‘দেখ, আমি আমার দূতকে (ইংরেজি: my messenger; আরবী বাইবেল: রাসূলী) প্রেরণ করবো, সে আমার আগে পথ প্রস্তুত করবে; এবং তোমরা যে প্রভুর খোঁজ করছো, তিনি অকস্মাৎ তাঁর এবাদতখানায় (his temple, তাঁর মন্দিরে, মো.-০৬: তার ঘরে) আসবেন; নিয়মের সেই দূত (মো.-০৬: ব্যবস্থা কাজে পরিণতকারী সেই সংবাদদাতা), যাতে তোমাদের প্রীতি, দেখ, তিনি আসছেন, এই কথা বাহিনীগণে মাবুদ বলেন।’’ (মালাখি ৩/১, মো.-১৩)
এর সাথে কুরআনের সূরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতটা পড়তে হবে: ‘‘পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের মাধ্যমে ভ্রমন করালেন আল-মাসজিদুল হারাম থেকে আল-মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাঁকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’’ (সূরা-১৭ বনি ইসরাইল: আয়াত ১)
তিনি বলেন, উপরের দু’টা বাইবেলীয় উদ্ধৃতিতে আকাঙ্খিত ব্যক্তির হঠাৎ করে মন্দিরে আগমন করার ভবিষ্যদ্বাণী করে নবী মুহাম্মাদের (ﷺ) আগমনের কথা বলা হয়েছে, নবী ঈসার (আ) আগমনের কথা বলা হয়নি। এ বিষয়ে তিনি অনেকগুলো যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তাঁর আলোচনার সার-সংক্ষেপ নিম্নরূপ:
১. ভাষাতাত্ত্বিকভাবে হিমদা ও আহমদের মধ্যকার সম্পর্ক ও মিল সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চিত করে যে, ‘সকল জাতির হিমদা আগমন করবেন’ বলতে ‘আহমদ’ বোঝানো হয়েছে। যীশু (Jesus), খ্রিষ্ট (Christ), ত্রাণকর্তা (Savior) ইত্যাদি নামের সাথে হিমদা শব্দটার একটা ব্যঞ্জনবর্ণেরও কোনো মিল নেই।
২. যদি হিমদা (Hmdh/himdah) শব্দের বিমূর্ত বাস্তব অর্থ- আকাঙ্খা, লোভ বা প্রশংসা- গ্রহণ করা হয় তবে এ অর্থের সাথে ‘আহমদ’ শব্দের অর্থের পুরোপুরি মিল রয়েছে, ঈসা বা যীশু অর্থের সামান্যতম কোনো সম্পর্ক নেই।
৩. এ ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে যে, সরুববাবিল নির্মিত দ্বিতীয় মন্দির শলোমন নির্মিত প্রথম মন্দিরের চেয়ে অধিক মর্যাদাময় হবে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে মালাখি বলছেন, নিয়ম বা শরীয়তের প্রভু- অর্থাৎ শরীয়ত প্রচারকারী সকল নবী ও রাসূলের নেতা- হঠাৎ করেই তথায় আগমন করবেন। ঠিক এ ঘটনাটাই ঘটেছিল মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর অলৌকিক আগমনের মাধ্যমে।
সরুববাবিল নির্মিত দ্বিতীয় মন্দির (মাসজিদে আকসা বা বাইতুল মোকাদ্দস) রাজা হেরোদ পুর্ননিমাণ করেন এবং যীশু কয়েকবারই তথায় গমন করেন। আমরা বিশ্বাস করি যে, অন্যান্য নবীর আগমনের ন্যায় নবী ঈসা মাসীহের আগমনেও মন্দিরটা মর্যাদাময় হয়েছে। তবে এ কথা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, ইঞ্জিলগুলোর বর্ণনা অনুসারে যীশু মাসজিদে আকসায় (বাইতুল মোকাদ্দসে) প্রবেশ করে কখনো শান্তিপূর্ণ আলোচনা বা শিক্ষাদান করতে পারেননি। বাইতুল মোকাদ্দসে তাঁর আগমন তিক্ত ঝগড়া-বিতর্কের মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছিল।
৪. উপরের ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে যে, আকাঙ্খিত এ ব্যক্তির আগমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। অথচ যীশু পৃথিবীতে বা বাইতুল মোকাদ্দসে কোথাও শান্তি আনয়ন করেননি। বরং তিনি সুস্পষ্টভাবেই বলেছেন যে, তিনি শান্তি প্রদানের জন্য আগমন করেননি। (মথি ১০/৩৪)। সর্বোপরি তিনি বাইতুল মোকাদ্দসের শান্তি বা মর্যাদা বৃদ্ধির ব্যবস্থা না করে বাইতুল মোকাদ্দসের ধ্বংস ও নির্মূলের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন (মথি ২৪ অধ্যায়, মার্ক ১৩ অধ্যায় ও লূক ২১ অধ্যায়)।
(৫) খ্রিষ্টান প্রচারকরা দাবি করেন যে, যীশুর দ্বিতীয়বার আগমনের পর এ ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হবে। নতুন নিয়মের বক্তব্য এ দাবি মোটেও সমর্থন করে না। নতুন নিয়ম থেকে জানা যায় যে, যীশুর দ্বিতীয় আগমন ঘটবে কিয়ামতের সময় বা কিয়ামতের দিনে। তাঁর আগমনের পরে আর বাইতুল মোকাদ্দসের মর্যাদা বৃদ্ধি বা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো সুযোগই থাকবে না। বরং মৃতরা পুনরুত্থিত হবে এবং সকলেই ঈশ্বরের কাছে চলে যাবে। জেরুজালেম, বাইতুল মোকাদ্দস ও মাসজিদে আকসা সবই ধ্বংস হবে: একটা পাথরের উপরে আর একটা পাথর থাকবে না; সমস্তই ভেংগে ফেলা হবে.... সেই সময়কার কষ্টের ঠিক পরেই সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে, চাঁদ আর আলো দেবে না, তারাগুলো আসমান থেকে খসে পড়ে যাবে এবং চাঁদ-সূর্য-তারা আর স্থির থাকবে না। এমন সময় আসমানে ইবনে-আদমের চিহ্ন দেখা দেবে...।’’ (মথি ২৪/২, ২৯-৩০। বিস্তারিত দেখুন মথি ২৪ অধ্যায়, মার্ক ১৩ অধ্যায় ও লূক ২১ অধ্যায়)
যীশুর পুনরাগমন হবে কিয়ামতের বিচারের জন্য, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নয়: ‘‘কেননা ইবনুল-ইনসান (মানুষের সন্তান) তাঁর ফেরেশতাদের সঙ্গে তাঁর পিতার প্রতাপে আসবেন, আর তখন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কাজ অনুসারে প্রতিফল দেবেন। আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েক জন আছে, যারা কোন মতে মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না, যে পর্যন্ত ইবনুল-ইনসানকে তাঁর রাজ্যে আসতে না দেখবে।’’ (মথি ১৬/২৭-২৮, মো.-১৩)
পল লেখেছেন: ‘‘কেননা আমরা প্রভুর কালাম দ্বারা তোমাদেরকে এই কথা ঘোষণা করছি যে, আমরা যারা জীবিত আছি, যারা প্রভুর আগমন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকব, আমরা কোনক্রমে সেই মৃত লোকদের আগে যাব না। কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনিসহ, প্রধান ফেরেশতার স্বরসহ এবং আল্লাহ্র তূরীবাদ্যসহ বেহেশত থেকে নেমে আসবেন, আর যারা মসীহে মৃত্যুবরণ করেছে, তারা প্রথমে জীবিত হয়ে উঠবে। পরে আমরা যারা জীবিত আছি, যারা অবশিষ্ট থাকব, আসমানে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য তাদের সঙ্গে একত্রে আমাদেরও মেঘযোগে তুলে নেওয়া হবে। আর আমরা এভাবে সব সময় প্রভুর সঙ্গে থাকব।’’ (১ থিষলনীকীয় ৪/১৫-১৭, মো.-১৩)
৬. মুহাম্মাদ (ﷺ) মিরাজের রাত্রিতে ‘হঠাৎ’ করেই মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মোকাদ্দসের বরকতময় স্থানটিতে আগমন করেন এবং পূর্ববর্তী সকল নবীকে নিয়ে সেখানে সালাত আদায় করেন। বাইবেল থেকে আমরা দেখি যে, ঈসা মাসীহের নূরানী চেহারা গ্রহণের পর্বতের (the mount of transfiguration) উপরে মূসা (আ) ও ইলিয়াস (আ) সশরীরে যীশুর সাথে সাক্ষাৎ করেন ও কথা বলেন (মথি ১৭/১-৩; মার্ক ৯/২-৪; লূক ৯/২৮-৩০)। কাজেই মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর মিরাজের রাত্রিতে পূর্ববর্তী নবীদের বাইতুল মোকাদ্দসের স্থানে একত্রিত হওয়া কোনো অবাস্তব বিষয় নয়। আর এভাবেই আল্লাহ তাঁর ঘরটাকে মর্যাদাময় করেন।
৭. মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পিতামাতা ও পিতামহ সকলেই ইসলামের আগমনের পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁরা বাইবেল, ইহুদিধর্ম ও হিব্রু ভাষা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। আরবদের মধ্যেও আহমদ ও মুহাম্মাদ নাম পরিচিত বা প্রসিদ্ধ ছিল না। এমতাবস্থায় তাঁরা এ এতিম নবজাতকের নাম রাখলেন ‘মুহাম্মাদ’। তাঁরা তাঁকে ডাকলেন ‘আহমদ’ বলে। মানব ইতিহাসে প্রথম এ নামটা ব্যবহার করা হলো। আদম সন্তানদের মধ্যে মুহাম্মাদের (ﷺ) আগে আর কাউকে এই নামে নামকরণ না করাটা এক অলৌকিক ঘটনাই বটে। তাঁর আগমনের মাধ্যমে বাইতুল মোকাদ্দসের মর্যাদা পূর্ণ হলো। এরপর দ্বিতীয় খলীফা উমার (রা) দ্বিতীয় মন্দির বা মাসজিদুল আকসা পুনর্নির্মাণ করেন। এখনো পর্যন্ত তা পরিপূর্ণ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। মহান আল্লাহ ইবরাহিম ও ইসমাইলের সাথে প্রতিজ্ঞা ও নিয়ম স্থাপন করেছিলেন (আদিপুস্তক ১৫/১৭) । আর এভাবেই এ নিয়ম ও প্রতিজ্ঞা পূর্ণতা পায়।