তালুতের মৃত্যুর পর খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালের দিকে এহুদা গোষ্ঠীর মানুষেরা দাউদকে রাজা হিসেবে গ্রহণ করে। এর বিরুদ্ধে বনি-ইসরাইলের অবশিষ্ট মানুষেরা তালুতের পুত্র ইশবাল বা ঈশ্বোশত্ (Ishbaal/ Ish-bosheth)-কে রাজা হিসেবে অভিষেক করে। ঈশ্বরের প্রিয় ধার্মিক প্রজারা ক্ষমতার জন্য লড়াই শুরু করেন। ঈশ্বরের প্রিয় পুত্র, প্রথম পুত্র, ঈশ্বরের মসীহ ও ঈশ্বরের নবী দাউদ ঈশ্বরের প্রিয় জাতির ভাইদেরকে হত্যা করে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করতে থাকেন।
‘‘গিবিয়োনের পুকুরের কাছে এই দুই দল সামনাসামনি হল। ... তখন (ঈশবোশতের সেনাপতি) অবনের (দাউদের সেনাপতি) যোয়াবকে বললেন, ‘দু’ দলের কয়েকজন যুবক উঠে আমাদের সামনে যুদ্ধ করুক। যোয়াব বললেন, ‘ভাল, তা-ই হোক।’ বিনইয়ামীন গোষ্ঠীর ও তালুতের ছেলে ঈশবোশতের পক্ষ থেকে বারোজনকে আর দাউদের পক্ষ থেকে বারোজনকে যুদ্ধ করবার জন্য বেছে নেওয়া হল। তখন দুই দলের লোকেরা প্রত্যেকেই একে অন্যের মাথা ধরে পাঁজরে ছোরা ঢুকিয়ে দিল এবং একসংগে মাটিতে পড়ে মারা গেল। ... সেই দিন এক ভীষণ যুদ্ধ হল আর তাতে অবনের ও ইসরাইলের লোকেরা দাউদের লোকদের কাছে হেরে গেল। .... যোয়াব অবনেরের পিছনে তাড়া করা বাদ দিয়ে ফিরে গেলেন। তিনি তাঁর লোকদের জমায়েত করলে পর দেখা গেল অসাহেল নেই আর দাউদের ঊনিশজন লোক নেই। তবে যে বিনইয়ামীনীয়রা অবনেরের সংগে ছিল দাউদের লোকেরা তাদের তিনশো ষাটজনকে হত্যা করেছিল। তালুত ও দাউদের সৈন্যদলের মধ্যে অনেকদিন পর্যন্ত যুদ্ধ চলল। দাউদ শক্তিশালী হয়ে উঠতে লাগলেন আর তালুতের সৈন্যদল দুর্বল হয়ে পড়তে লাগল।’’ (২ শামুয়েল ২/১৩-৩১ ও ৩/১)
এভাবে দাউদ তাঁর ক্ষমতা সুসংহত করতে থাকেন। প্রথম দু বছর তিনি মূলত শুধু এহুদা গোষ্ঠীর রাজা ছিলেন। বাকি এগারো গোষ্ঠীর রাজা ছিলেন ইশবোশত। দু বছর পর ইশবোশতের মৃত্যুর পর অন্যান্য গোষ্ঠীও দাউদকে রাজা হিসেবে মেনে নেন। এর পরেও পাঁচ বছর কেটে যায় ক্ষমতা সুসংহত করতে। ‘‘দাউদ যখন বাদশাহ হলেন তখন তাঁর বয়স ছিল ত্রিশ বছর; তিনি চল্লিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন। তিনি হেবরনে থেকে এহুদা দেশের উপরে সাড়ে সাত বছর আর জেরুজালেমে থেকে সমস্ত ইসরাইল ও এহুদার উপরে তেত্রিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন।’’ (২ শামুয়েল ৫/৪-৫)