এভাবেই ঈশ্বরের মসীহ দাউদ মিথ্যা বলে প্রতারণা করলেন ঈশ্বরের ইমামকে। ঈশ্বরের আরেক মসীহ এ প্রতারিত ইমাম ও তার লোকদের নির্দয়ভাবে হত্যা করলেন:
‘‘ইদোমীয় দোয়েগ সে সময় তালুতের কর্মচারীদের পাশেই ছিল। সে বলল, ‘‘আমি ইয়াসিরের ছেলেকে নোব গ্রামে অহীটূবের ছেলে অহীমেলকের কাছে যেতে দেখেছি। তার সম্বন্ধে মাবুদের ইচ্ছা কি অহীমেলক তা মাবুদের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি তাকে খাবার-দাবার দিয়েছেন আর ফিলিস্তিনি জালুতের তলোয়ারটাও দিয়েছেন।’’ এই কথা শুনে বাদশাহ তালুত অহীটূরের ছেলে ইমাম অহীমেলককে ও তাঁর পিতার বংশের লোকদের অর্থাৎ নোবের সমস্ত ইমামদের ডেকে পাঠাবার জন্য লোক পাঠালেন। তাঁরা সবাই বাদশাহর কাছে আসলেন। তখন তালুত বললেন, ‘শোন, অহীটূরের ছেলে।’ তিনি বললেন, ‘বলুন, মহারাজ।’ তালুত তাঁকে বললেন, ‘তুমি ও ইয়াসিরের ছেলে কেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছ? সে যাতে আজ আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারে এবং ওৎ পেতে বসে থাকতে পারে সেজন্য তুমি তাকে রুটি দিয়েছ, তলোয়ার দিয়েছ আর তার জন্য আল্লাহর ইচ্ছা কি জিজ্ঞাসা করেছ।’ এর জবাবে অহীমেলক বাদশাহকে বললেন, ‘মহারাজ, আপনার সমস্ত কর্মচারীদের মধ্যে আপনার জামাই দাউদের মত বিশ্বস্ত কে? তিনি আপনার দেহরক্ষী সৈন্যদের নেতা এবং আপনার পরিবারেরর মধ্যে একজন সম্মানিত লোক। আমি কি সেই দিনই প্রথমবার তাঁর সম্বন্ধে আল্লাহর ইচ্ছা কি জিজ্ঞাসা করেছি? কখনও না। মহারাজ, আপনার এই গোলামকে কিংবা তার পিতার বংশের লোকদের কাউকে দোষ দেবেন না। এই সব ব্যাপার সম্বন্ধে আপনার এই গোলাম কিছুই জানে না।’
কিন্তু বাদশাহ বললেন, ‘অহীমেলক, তুমি ও তোমার পিতার বংশের লোকদের অবশ্যই মরতে হবে।’ তারপর বাদশাহ তাঁর পাশে দাঁড়ানো সৈন্যদের বললেন, ‘তোমরা গিয়ে মাবুদের এই সব ইমামদের মেরে ফেল। এরা দাউদের পক্ষে গেছে। এরা জানত যে, দাউদ পালাচ্ছে, তবুও তারা সেই কথা আমাকে জানায়নি।’
কিন্তু বাদশাহর কর্মচারীরা মাবুদের ইমামদের গায়ে হাত তুলতে রাজি হল না। তখন বাদশাহ দোয়েগকে বললেন, ‘তবে তুমিই গিয়ে ইমামদের মেরে ফেল।’ ইদোমীয় দোয়েগ সেই দিন পঁচাশি জন ইমামকে হত্যা করল। ইমামদের সকলের গায়ে ছিল মসীনার এফোদ। তারপর সে ইমামদের গ্রাম নোবের উপর আক্রমণ চালিয়ে সেখানকার স্ত্রী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে-শিশু, গরু-গাধা-ভেড়া সব শেষ করে দিল। অহীটূরের নাতি, অর্থাৎ অহীমেলকের একটা ছেলে কোন রকমে রক্ষা পেয়ে দাউদের কাছে পালিয়ে গেলেন। তাঁর নাম ছিল অবিয়াথর।’’ (১ শামুয়েল ২২/৬-২০)