৯. ৬. ৫. ১. মসীহ দাউদ মিথ্যা বলে প্রতারণা করলেন

তালুতের ভয়ে নিরস্ত্র নিঃসঙ্গ দাউদ যখন মহা-ইমাম অহীমেলকের নিকট গমন করেন তখন মহা-ইমাম তালুত ও দাউদের শত্রুতার বিষয় জানতেন না। তিনি দাউদকে রাজা তালুতের জামাতা ও প্রধান সেনাপতি হিসেবেই সমাদর করেন। আর দাউদ মিথ্যা কথা বলে তার এ সমাদর সংরক্ষণ করেন। নিম্নের উদ্ধৃতিতে দাউদ যা কিছু বলেছেন সবই ডাহা মিথ্যা কথা। সরলপ্রাণ ইমাম সবই বিশ্বাস করেছেন:

‘‘এরপর দাউদ নোব গ্রামে ইমাম অহীমেলকের কাছে গেলেন। অহীমেলক তখন ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বের হয়ে দাউদের সামনে আসলেন। তিনি দাউদকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি একা কেন? কেন আপনার সংগে আর কেউ নেই?’ জবাবে দাউদ ইমাম অহীমেলককে বললেন, ‘বাদশাহ আমাকে একটা কাজের ভার দিয়ে বলেছেন, তিনি যে কাজের হুকুম দিয়ে আমাকে পাঠিয়েছেন তার কিছুই যেন আর কেউ জানতে না পারে। সেজন্য আমার লোকদের আমি একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আমার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি। আপনার কাছে কি আছে? পাঁচখানা রুটি আমাকে দিন, কিংবা যা আছে তাই দিন।’ ইমাম জবাবে দাউদকে বললেন, ‘আমার কাছে কোন সাধারণ রুটি নেই, তবে পবিত্র রুটি আছে। যদি আপনার লোকেরা কোন স্ত্রীলোকের কাছে না গিয়ে থাকে তাহলে খেতে পারবে।’ দাউদ বললেন, ‘আমাদের নিয়ম মত আমরা সত্যিই কোন স্ত্রীলোকের কাছে যাইনি। সৈন্যদের নিয়ে আমি যখন কোন সাধারণ কাজে বের হই তখনও আমার সৈন্যরা পাক সাফ থাকে। তবে আজ তারা কত না বেশী পাক সাফ আছে।’ কাজেই ইমাম দাউদকে সেই পবিত্র রুটি দিলেন, কারণ সেই রুটি ছাড়া আর অন্য কোন রুটি তাঁর কাছে ছিল না। ঐদিনই সেই রুটি মাবুদের সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে তার জায়গায় গরম রুটি রাখা হয়েছিল। ... দাউদ অহীমেলককে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এখানে আপনার কাছে কোন বর্শা বা তলোয়ার নেই? বাদশাহ্র কাজ জরুরী ছিল বলে আমি নিজের তলোয়ার বা অন্য কোন অস্ত্র সংগে আনতে পারিনি।’ ইমাম বললেন, ‘এলো উপত্যকায় আপনি যে ফিলিস্তিনি জালুতকে মেরে ফেলেছিলেন তার তলোয়ারখানা এখানে আছে। ওটা এফোদের পিছনে কাপড়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। ইচ্ছা করলে ওটা আপনি নিতে পারেন। ওটা ছাড়া আর কোন তলোয়ার এখানে নেই।’ দাউদ বললেন, ‘ওটার মত তলোয়ার আর কোথায় আছে? ওটাই আমাকে দিন’।’’ (১ শামুয়েল ২১/১-৯)