একজন লেবীয় ইহুদি তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তার উপস্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে রাত্রি যাপনের জন্য বিনইয়ামীন গোষ্ঠীর এলাকায় এক বৃদ্ধের বাড়িতে ওঠেন। ‘‘তখন শহরে কয়েকজন দুষ্ট লোক এসে বাড়িটা ঘেরাও করল। তারা দরজায় আঘাত করতে করতে বাড়ীর মালিক অর্থাৎ সেই বুড়ো লোকটিকে বলল, ‘যে লোকটি তোমার বাড়িতে এসেছে তাকে বের করে দাও। আমরা তার সংগে জেনা করব।’ তখন বাড়ির মালিক তাদেরকে বের হয়ে বলল,‘‘না, না, আমার ভাইয়েরা; মিনতি করি, এমন জঘন্য কাজ তোমরা করো না। ঐ লোকটি আমার মেহমান; এই খারাপ কাজ তোমরা করো না। আমার অবিবাহিত মেয়ে এবং লোকটির উপস্ত্রী এখানে রয়েছে। আমি এখনই তাদের তোমাদের কাছে বের করে আনছি। তোমরা তাদের ইজ্জত নষ্ট কর এবং তোমাদের যা ইচ্ছা তা-ই তাদের প্রতি কর, কিন্তু এই লোকের উপর এই খারাপ কাজ করো না।’ তবুও তারা তার কথা শুনতে রাজী হল না।
তখন সেই লোকটি তার উপস্ত্রীকে ধরে বাইরে তাদের কাছে বের করে দিল। তারা সারারাত ধরে জোর করে তার সংগে জেনা করল এবং তার শরীরের উপর অত্যাচার করল। তারপর তারা ভোরের দিকে তাকে ছেড়ে দিল। অন্ধকার যখন কেটে যাচ্ছিল তখন সেই স্ত্রীলোকটি ফিরে গিয়ে তার স্বামী যেখানে ছিল সেই বুড়ো লোকের বাড়ির দরজার সামনে পড়ে গেল। সূর্য না ওঠা পর্যন্ত সে সেখানেই পড়ে রইল। সকাল বেলায় তার স্বামী উঠে যাত্রা করবার জন্য যখন ঘরের দরজা খুলে বের হল তখন দেখতে পেল যে, তার উপস্ত্রী ঘরের দরজার চৌকাঠের উপর হাত রেখে পড়ে আছে। সে তাকে বলল, ‘ওঠো, চল আমরা যাই’, কিন্তু কোন জবাব পেল না। তখন লোকটি তাকে তার গাধার উপর তুলে নিয়ে বাড়ীর দিকে রওয়ানা হল। বাড়ী পৌঁছে সে একটা ছুরি নিয়ে তার হাড় দেখে দেখে তাকে কেটে বার টুকরা করল এবং বনী ইসরাইলদের সমস্ত এলাকায় সেগুলো পাঠিয়ে দিল।’’ (কাজীগণ ১৯/২২-৩০)