বাইবেল সমালোচকরা বাইবেলীয় অশিষ্টতা ও অশ্লীলতা (Bible Vulgarities & Obscenities) প্রসঙ্গে অশ্লীল বা কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার প্রসঙ্গটা উল্লেখ করেন। বাইবেলের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের বর্ণনায় এমন অনেক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে যা ধর্মগ্রন্থ তো দূরের কথা সাধারণ কথাবার্তা বা সাহিত্যে অশালীন, অশ্রাব্য বা অরুচিকর বলে গণ্য। শালীনতা ও অশালীনতা বা রুচি ও অরুচির বিষয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে। তবে স্বাভাবিক বিচারে এগুলো অশালীন বা অভদ্র শব্দ এবং এগুলো বাদ দিয়ে অধিকতর শালীন শব্দ ব্যবহার করেও এ কথাগুলো বলা যেত। বিশেষত, ঐশ্বরিক পুস্তকের ক্ষেত্রে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আরো অনেক শালীন, আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য ভাষায় কথাগুলো বলতে পারতেন বলে ধারণা করাই স্বাভাবিক।[1]
যেমন লিঙ্গাগ্রচ্ছেদন বা খাতনা করা বাইবেলের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিধান। বাইবেলে শত শতবার বিষয়টা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে লিঙ্গাগ্রচর্মের বর্ণনা, বয়স্ক মানুষদের লিঙ্গাগ্রচর্ম কর্তনের বর্ণনা, বয়স্ক মানুষদের লিঙ্গাগ্রচর্ম কেটে জমা করে পাহাড় বানানোর বর্ণনা ইত্যাদি অনেক স্থানে বেশ অশোভনীয়। বিষয়টা অশোভন বা অরুচিকর হওয়ার কারণে বর্তমানে অনেক অনুবাদে আক্ষরিক অনুবাদ বর্জন করা হচ্ছে বা মূল ‘অশোভন’ শব্দ বা বাক্যটা এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইংরেজি কিং জেমস ভার্শনের সাথে মিলিয়ে পড়লে অশোভনীয়তা ভালভাবে অনুধাবন করা যাবে। পাঠক নিম্নের শ্লোকগুলো কিং জেমস ভার্শন ও বাংলা কেরি ভার্শন সামনে রেখে পরবর্তী অনুবাদগুলোর সাথে মিলিয়ে পড়তে পারেন: আদিপুস্তক ১৭/১০-১৪; ২৩-২৭; ২১/৪; ৩৪/১৫, ১৭, ২২, ২৪; যাত্রাপুস্তক ৪/২৫; ২৬; ১২/৪৪; লেবীয় ১২/৩; দ্বিতীয় বিবরণ ১০/১৬; ৩০/৬; যিহোশূয় ৫/২-৫; ৭-৮; বিচারকর্তৃগণ ৪/৪, ৯/২৫; ১ শামুয়েল ১৮/২৫, ২৭, ২ শামুয়েল ৩/১৪, হাবাক্কুক ২/১৬... ইত্যাদি।