ভাষার অশোভনীয়তার বিভিন্ন দিক রয়েছে। কখনো কখনো নিষ্ঠুরতা বা হত্যাকাণ্ড-র বর্ণনা এমনভাবে দেওয়া হয়েছে যে, কোনো ধার্মিক খ্রিষ্টানও চাইবেন না যে, তার কিশোর সন্তান তা পাঠ করুক। একটা হত্যাকাণ্ড-র বর্ণনায় বাইবেল বলছে: ‘‘যোয়াব অমাসাকে বললেন, ‘ভাই, কেমন আছ?’ এই বলে তিনি ডান হাত দিয়ে তাঁর দাড়ি ধরলেন। যোয়াবের হাতে যে সেই ছোরাটা ছিল সেই দিকে অমাসা খেয়াল করেনি। যোয়াব সেই ছোরা তাঁর পেটে ঢুকিয়ে দিলেন। তাতে তাঁর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে মাটিতে পড়ল। .... তারপর সেই স্ত্রীলোকটি সমস্ত লোকের কাছে গিয়ে জ্ঞানপূর্ণ উপদেশ দিল। লোকেরা বিথ্রির ছেলে শেবের মাথাটা কেটে নিয়ে যোয়াবের কাছে  ছুঁড়ে দিল।’’ (২ শামুয়েল ২০/৯-১০, ২২)

অন্যত্র বাইবেল বলছে: ‘‘যেহু বললেন, ‘ওকে নীচে ফেলে দাও।’ তখন তারা ঈষেবলকে নীচে ফেলে দিল আর যেহুর রথের ঘোড়াগুলো তাঁকে পায়ে মাড়িয়ে গেল। তাতে তাঁর রক্ত ছিটকে গিয়ে দেয়ালে আর ঘোড়ার গায়ে লাগল। ... লোকেরা যখন তাঁকে দাফন করবার জন্য বাইরে গেল তখন তাঁর মাথার খুলি, হাত ও পা ছাড়া আর কিছুই পেল না ...।’’ (২ বাদশাহনামা ৯/৩৩-৩৫)

পাঠক পরবর্তী অধ্যায়ে হত্যা ও জিহাদ প্রসঙ্গে আরো ভয়ঙ্কর কিছু বর্ণনা দেখবেন। পুরো বাইবেলের মধ্যে এরূপ বিভীষিকাময় বর্ণনা অনেক। ‘হরর মুভি’ (horror movie) বা ভয়ের-সিনেমাগুলোতেই এরূপ থাকে। ধর্মগ্রন্থে এরূপ বিভীষিকাময় বর্ণনা আপত্তিকর বলে গণ্য করাই স্বাভাবিক। বিশেষত ধর্মগ্রন্থ তো শিশু কিশোর সকলেই পড়বেন। আর এরূপ বর্ণনা শিশু-কিশোরদেরকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলতে পারে।

কখনো কখনো উপদেশ প্রসঙ্গেও এরূপ আতঙ্কময় বর্ণনা দেওয়া হয়েছে: ‘‘আপনারা আমার লোকদের গা থেকে চামড়া আর হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে নিচ্ছেন; আপনারা আমার লোকদের মাংস খাচ্ছেন, তাদের চামড়া তুলে ফেলে হাড়গুলো টুকরা টুকরা করে ভাঙ্গছেন; আপনারা হাঁড়ির মধ্যেকার মাংসের মত করে তাদের টুকরা টুকরা করে কাটছেন।’’ (মিকাহ ৩/২-৩)