ইঞ্জিলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান যীশুর অনেক প্রতিশ্রুতি বা ভবিষ্যদ্বাণী অসত্য প্রমাণিত হয়েছে। অন্য যে কোনো মানুষের ক্ষেত্রে এরূপ ভবিষ্যদ্বাণীকে খ্রিষ্টান প্রচারকরাও মিথ্যা বলে স্বীকার করবেন। তবে যীশুর ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদানের চেষ্টা করেন। বাইবেল সমালোচকরা এগুলোকে যীশুর মিথ্যা অথবা ইঞ্জিলের বিকৃতি বলে গণ্য করেন। চতুর্থ অধ্যায়ে বাইবেলীয় ভুলভ্রান্তি প্রসঙ্গে আমরা এ জাতীয় কয়েকটা বিষয় আলোচনা করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
(১) শিষ্যদের জীবদ্দশায় পুনরাগমনের প্রতিশ্রুতি (মথি ১০/২৩; ১৬/২৭-২৮; ২৬/৬৩-৬৫; মার্ক ১৪/৬১-৬৪)।
(২) বার শিষ্যের প্রত্যেকেই সিংহাসনে বসবেন বলে প্রতিশ্রুতি (মথি ১৯/২৮; ২৭/৫; প্রেরিত ১/১৮)।
(৩) বিশ্বাসীদের জন্য অলৌকিক ক্ষমতার প্রতিশ্রুতি (মথি ১৭/২০ ২১/১৮-২১; মার্ক ১১/১২-২৩; ১৬/১৮; লূক ১৭/৬; যোহন ১৪/১২)।
(৪) পিতামাতা, স্ত্রী-পরিজন ও সম্পত্তি পরিত্যাগ করলে দুনিয়াতেই এগুলোর শতগুণ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি (মার্ক ১০/২৯-৩০; লূক ১৮/২৯-৩০)।
(৫) তিন দিন ও তিন রাত্র পৃথিবীর হৃদয়ের মধ্যে অবস্থান করার প্রতিশ্রুতি (মথি ১২/৩৯-৪০; ২৭/৪৫-৬১; ২৮/১-১০; মার্ক ১৫/৩৩-৪৭; ১৬/১-১১; লূক ২৩/৪৪-৫৬; ২৪/১-১২; যোহন ১৯/২৫-৪২; ২০/১-১৮)।
(৬) স্বর্গকে উন্মুক্ত ও ফেরেশতাদেরকে উঠানামা করতে দেখার প্রতিশ্রুতি (যোহন (১/১৫)।
(৭) শিষ্যরা পবিত্র আত্মার সহায়তা লাভ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি (লূক ১২/১১-১২; মথি ১০/১৯-২০; মার্ক ১৩/১১ ও প্রেরিত ২৩/১-৫)।
(৮) ক্রুশারোহণের দিনেই সাথীকে স্বর্গে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি (লূক ২৩/৪৩)।