বাইবেল বলছে: ‘‘বাদশাহ দাউদ বৃদ্ধ হয়েছিলেন ও তাঁর অনেক বয়স হয়েছিল এবং লোকেরা তাঁর শরীরে অনেক কাপড় দিলেও তা উষ্ণ হত না। এজন্য তাঁর গোলামেরা তাঁকে বললো, আমাদের মালিক বাদশাহর জন্য একটা যুবতী কুমারীর খোঁজ করা হোক; সে বাদশাহর সম্মুখে দাঁড়িয়ে তাঁর সেবা-যত্ন করুক এবং আমাদের মালিক বাদশাহর শরীর যেন উষ্ণ হয়, এজন্য তাঁর বক্ষস্থলে শয়ন করুক। পরে লোকেরা ইসরাইলের সমস্ত অঞ্চলে সুন্দরী যুবতী মেয়ের খোঁজ করলো ও শুনেমীয়া অবীশগকে (Abishag the Shunammite) পেয়ে বাদশাহর কাছে নিয়ে গেল। সেই যুবতী খুব সুন্দরী ছিল, আর সে বাদশাহর সেবা-যত্ন ও তাঁর পরিচর্যা করতো, কিন্তু বাদশাহ তার পরিচয় নিলেন না।’’ (১ রাজাবলি/ বাদশাহনামা ১/১-৪, মো.-১৩)
এখানে আমরা এ অতিবৃদ্ধ ভাববাদীর উষ্ণতার সাথে যৌবন, কৌমর্য ও সৌন্দর্যের সম্পৃক্ততা দেখছি। ঈশ্বরের পুত্র ও খ্রিষ্ট এ ভাববাদীর এ সময়ে অনেক স্ত্রী বিদ্যমান ছিলেন। যারা এতদিন তাঁকে উষ্ণ করেছেন। কিন্তু এখন তিনি উষ্ণতার জন্য রাজ্যের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত অনুসন্ধান করে যুবতী, কুমারী ও অতি সুন্দরী এ মেয়েটাকে নিয়ে এলেন, তারপরও তিনি তার পরিচয় নিয়ে উষ্ণ হতে সক্ষম হলেন না।