দাউদকে বাইবেল মিথ্যাবাদী হিসেবে চিত্রিত করেছে। এক ঘটনায় রাজা শৌলের ভয়ে নিঃসঙ্গ পরিত্যক্ত পলায়নরত দাউদ ইহুদিদের মহাযাজক/ মহা-ইমাম অহীমেলকের নিকট গমন করেন। যাজক দাউদকে রাজ-জামাতা ও রাজার সেনাপতি হিসেবেই জানতেন। তালুত ও দাউদের মধ্যকার সমস্যা তিনি জানতেন না। যাজকের এ অজ্ঞতাকে পুঁজি করে দাউদ তাকে মিথ্যা বলে খাদ্য ও অস্ত্র আদায় করেন। যাজক দাউদকে খাদ্য ও অস্ত্র প্রদান করেছেন জানতে পেরে তালুত তথায় গণহত্যা চালান।
‘‘পরে দাউদ নোবে ওহীমেলক ইমামের কাছে উপস্থিত হলেন; আর ওহীমেলক কাঁপতে কাঁপতে এসে দাউদের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন ও তাঁকে বললেন, আপনি একা কেন? আপনার সঙ্গে কেউ নেই কেন? দাউদ ওহীমেলক ইমামকে বললেন, বাদশাহ্ একটা কাজের ভার দিয়ে আমাকে বলেছেন, আমি তোমাকে যে কাজে প্রেরণ করলাম ও যা হুকুম করলাম, তার কিছুই যেন কেউ না জানে; আর আমি নিজের সঙ্গী যুবকদের অমুক অমুক স্থানে আসতে বলেছি। এখন আপনার কাছে কি আছে? পাঁচখানা রুটি হোক, কিংবা যা থাকে, আমার হাতে দিন। ... তখন ইমাম তাঁকে পবিত্র রুটি দিলেন, ... পরে দাউদ ওহীমেলককে বললেন, এই স্থানে আপনার কাছে কি বর্শা বা তলোয়ার নেই? কেননা রাজকার্যের ব্যস্ততায় আমি আমার তলোয়ার বা অস্ত্র সঙ্গে আনি নি।’’ (১ শামুয়েল ২১/১-৮, মো.-১৩)
এখানে দাউদ যা কিছু বলেছেন সবই মিথ্যা। এ মিথ্যার ফলশ্রুতিতে রাজা শৌল (তালুত) নোবে নির্বিচার গণহত্যা করেন। তিনি তথাকার সকল নারী, পুরুষ, শিশু এবং গরু, ছাগল, মেষ, গাধা ইত্যাদি সকল প্রাণি হত্যা করেন। এ ঘটনায় ৮৫ জন যাজক বা ইমাম নিহত হন। অহীমেলকের পুত্র অবিয়াথর রক্ষা পান। তিনি পালিয়ে দাউদের নিকট গমন করেন। দাউদ তার কাছে স্বীকার করেন যে, তিনিই তার পরিবারের সকলের এ হত্যা ও ধ্বংসের কারণ। (১ শমূয়েল ২২/১-২৩)