দাউদ অনেকগুলো বিবাহ করেন। প্রথম বিবাহ করেন তালুতের মেয়েকে। এ বিবাহে দাউদ পণ হিসেবে ২০০ জন খতনা না করা পুরুষের যৌনাঙ্গের চামড়া কেটে তাঁর শ্বশুর ঈশ্বরের নবী ও মাসীহ তালুতকে প্রদান করেন। তৃতীয় অধ্যায়ে বৈপরীত্য প্রসঙ্গে আমরা এ বিষয়টা আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি, বাইবেল বলেছে: ‘‘বাদশাহ কোন পণ চান না, কেবল বাদশাহর দুশমনদের প্রতিশোধের জন্য ফিলিস্তিনিদের এক শত লিঙ্গাগ্রত্বক চান। ... দাউদ তাঁর লোকদের সঙ্গে উঠে গিয়ে দুই শত ফিলিস্তিনীকে হত্যা করলেন এবং বাদশাহর জামাতা হবার জন্য দাউদ পূর্ণ সংখা অনুসারে তাদের লিঙ্গগ্রত্বক এনে বাদশাহকে দিলেন; পরে তালুত তাঁর সঙ্গে তাঁর কন্যা মীখলের বিয়ে দিলেন।’’ (১ শমূয়েল ১৮/২৫-২৭, মো.-১৩)
সুপ্রিয় পাঠক, বাইবেলের এ বর্ণনার অশোভনীয়তা ছাড়াও এটা অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। ঈশ্বরের মসীহ, ঈশ্বরের পুত্র ও নবীদের কাছে মানুষ খুন কি এতই সহজ? যুদ্ধাবস্থা এবং যুদ্ধের ময়দানের বাইরে নিরস্ত্র মানুষদেরকে ধরে ধরে হত্যা করা কি এতই স্বাভাবিক কাজ? দাউদ কিভাবেই বা দু শত ফিলিস্তিনীকে হত্যা করলেন? রাস্তা ঘাটে ঘুরলেন এবং সুযোগ মত যাকে পেলেন হত্যা করে তার লিঙ্গাগ্র কেটে নিলেন? কর্তিত লিঙ্গাগ্রগুলো তিনি কিভাবে বয়ে আনলেন? আর তালুত কিভাবেই বা সেগুলো গণনা করে বুঝে নিলেন?