সাধারণ বিকৃতি যেহেতু অগণিত, সেহেতু এ জাতীয় বিকৃতিগুলো বেশি আলোচনা করে পাঠকদের ধৈর্যচ্যূতি ঘটাতে চাচ্ছি না। ধর্মীয় উদ্দেশ্য প্রণোদিত দুটো বিশেষ শ্রেণির বিকৃতি আমরা এখানে আলোচনা করব: (১) পুরাতন নিয়ম থেকে উদ্ধৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন নিয়মের লেখকদের বিকৃতি এবং (২) পরবর্তী কালের খ্রিষ্টানগণ কর্তৃক নতুন নিয়মের পাঠের বিকৃতি।
আমরা দেখেছি যে, নতুন নিয়মের লেখকরা পুরাতন নিয়ম বুঝাতে কয়েকটা পরিভাষা ব্যবহার করতেন: (১) ‘লিখিত আছে’ বা ‘ভাববাদীগণ/ নবীগণ কর্তৃক লিখিত আছে’ (written, written by the prophets), (২) ‘শাস্ত্র’ বা পাক কিতাব (scripture) (৩) ‘ব্যবস্থা ও ভাববাদিগণ’ বা ‘তৌরাত ও নবীগণ’ (the law and the prophets)।
বাইবেল বিশেষজ্ঞরা বলেন, নতুন নিয়মের পুস্তকগুলোর লেখকরা তাঁদের ধর্মমত প্রমাণের জন্য ‘লিখিত আছে’, ‘শাস্ত্র’ বা ‘পাক কিতাবে’ আছে ইত্যাদি বলে পুরাতন নিয়মের পুস্তকগুলোর অনেক বক্তব্য বিকৃতরূপে উদ্ধৃত করেছেন। এ জাতীয় বিকৃতির মধ্যে রয়েছে গ্রন্থের নামের পরিবর্তন, বক্তব্যের পরিবর্তন, অর্থ পরিবর্তন এবং অপ্রাসঙ্গিক ব্যবহার। আমরা এখানে এ জাতীয় কিছু বিকৃতি উল্লেখ করছি।