সুপ্রিয় পাঠক, আমরা ৬টা পরিচ্ছেদে ১৭৩টা অনুচ্ছেদে বাইবেলের কয়েক শত বৈপরীত্য আলোচনা করেছি। পাশ্চাত্য বাইবেল সমালোচকরা আরো অনেক বৈপরীত্যের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো কিছুটা ব্যাখ্যা সাপেক্ষ সমন্বয়যোগ্য বিবেচনা করে আমরা বাদ দিয়েছি। এছাড়া আরো অনেক বৈপরীত্য আমরা বাদ দিয়েছি, কারণ সেগুলো বাংলা অনুবাদে অস্পষ্ট। ইংরেজিতে বৈপরীত্য এক নজরেই ধরা পড়ে; কিন্তু বাংলা অনুবাদে একেক স্থানে একেক শব্দ ব্যবহার করাতে বৈপরীত্য অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাঙালি পাঠককে সেগুলো বুঝাতে দীর্ঘ আলোচনা প্রয়োজন। পাঠক তথ্যসূত্রে উদ্ধৃত ইন্টারনেট ওয়েবসাইটগুলো থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
প্রসিদ্ধ আমেরিকান লেখক সি (ক্লাউড) ড্যানিস ম্যাককিনসি (Claud Dennis McKinsey) ‘বাইবেলীয় ভুলভ্রান্তি বিশ্বকোষ’ (The Encyclopedia of Biblical Errancy) নামে একটা গ্রন্থ ১৯৯৫ সালে প্রকাশ করেন। এছাড়া ২০০০ সালে ‘বাইবেলীয় ভুলভ্রান্তি: একটা তথ্যসূত্র নির্দেশিকা’ (Biblical Errancy: A Reference Guide) নামক একটা পুস্তক প্রকাশ করেন। পাঠক পুস্তক দু’টো পড়তে পারেন।
বৈপরীত্য প্রসঙ্গে বৈপরীত্য ব্যাখ্যায় বা সমন্বয়ে প্রচারকদের কিছু বক্তব্য উদ্ধৃত করেছি। এ পরিচ্ছেদে আমরা বৈপরীত্য ব্যাখ্যার বিভিন্ন পদ্ধতি পর্যালোচনা করব।