আমরা দেখেছি যে, এ বিষয়ে তিন ইঞ্জিলের সাথে যোহনের বৈপরীত্য বিদ্যমান। মথি লেখেছেন: ‘‘যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সে তাদেরকে এই সঙ্কেত বলেছিল, আমি যাকে চুম্বন করবো, সে ঐ ব্যক্তি, তোমরা তাকে ধরবে। সে তখনই ঈসার কাছে গিয়ে বললো, রবিব, আসসালামু আলাইকুম, আর তাঁকে আগ্রহ পূর্বক চুম্বন করলো। ঈসা তাকে বললেন, বন্ধু, যা করতে এসেছো, কর। তখন তারা কাছে এসে ঈসার উপর হস্তক্ষেপ করে তাঁকে ধরলো।’’ (মথি ২৬/ ৪৭-৫১, মো.-১৩)
কিন্তু যোহন লেখেছেন: ‘‘অতএব এহুদা সৈন্যদলকে এবং প্রধান ইমামদের ও ফরীশীদের কাছ থেকে পদাতিকদের সঙ্গে নিয়ে মশাল, প্রদীপ ও অস্ত্রশস্ত্র সঙ্গে নিয়ে সেখানে আসল। তখন ঈসা, তাঁর প্রতি যা যা ঘটতে যাচ্ছে সমস্ত কিছু জেনে বের হয়ে আসলেন, আর তাদেরকে বললেন, কার খোঁজ করছো? তারা তাঁকে জবাবে বললো, নাসরতীয় ঈসার। তিনি তাদেরকে বললেন, আমিই তিনি। আর এহুদা, যে তাঁকে ধরিয়ে দিচ্ছিল, সে তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। তিনি যখন তাদেরকে বললেন, আমিই তিনি, তখন তারা পিছিয়ে গেল এবং ভূমিতে পড়ে গেল। পরে তিনি আবার তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, কার খোঁজ করছো? তারা বলল, নাসরতীয় ঈসার। জবাবে ঈসা বললেন, আমি তো তাদেরকে বললাম যে, আমিই তিনি; অতএব তোমরা যদি আমার খোঁজ কর, তবে এদেরকে (সাহাবীদেরকে) যেতে দাও ... তখন শিমোন পিতরের কাছে তলোয়ার থাকাতে তিনি তা খুলে মহা-ইমামের গোলামকে আঘাত করে তার ডান কান কেটে ফেললেন। ... তখন ঈসা পিতরকে বললেন, তলোয়ার খাপে রাখ; আমার পিতা আমাকে যে পানপাত্র দিয়েছেন তা থেকে কি আমি পান করবো না? তখন সৈন্যদল ও সহস্রপতি ও ইহুদীদের পদাতিকেরা ঈসাকে ধরলো ও তাঁকে বেঁধে ... নিয়ে গেল।’’ (ইউহোন্না ১৮/৩-১২, মো.-১৩)
উভয় বর্ণনার মধ্যে বৈপরীত্য যে কোনো অতি সাধারণ পাঠকের কাছেও স্পষ্ট। প্রথম বর্ণনায় এহুদা-ই মূল নায়ক; কথা ও কর্ম সবই তার এবং যীশু মূলত নীরব। দ্বিতীয় বর্ণনায় যীশুই মূল নায়ক; কথা ও কর্ম সবই তাঁর এবং যিহুদা নীরব!