১ বাদশাহনামা/ রাজাবলি ১৫/৩৩: ‘‘এহুদার বাদশাহ আসার তৃতীয় বছরে অহিয়ের পুত্র বাশা তির্সাতে সমস্ত ইসরাইলে রাজত্ব করিতে আরম্ভ করে চবিবশ বছর রাজত্ব করেন।’’ (মো.-১৩)
২ খান্দাননামা/ বংশাবলি ১৬/১ ‘‘আসার রাজত্বের ছত্রিশ বছরে ইসরায়েলের বাদশাহ বাশা এহুদার বিরুদ্ধে যাত্রা করিলেন।’’ (মো.-১৩)
উভয় তথ্য পরস্পর বিরোধী। প্রথম শ্লোকের বর্ণনা অনুসারে ‘আসা’র রাজত্বের ২৬তম বছরে বাশা মৃত্যু বরণ করেন। এ বর্ণনা অনুসারে ‘আসার রাজত্বের ছত্রিশ বছরে’ ইস্রায়েল-রাজ বাশা’-র মৃত্যুর পরে দশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তাহলে মৃত্যুর দশ বছর পরে কিভাবে তিনি ‘যিহূদার বিরূদ্ধে যাত্রা করিলেন?’
২ খান্দাননামা/ বংশাবলি ১৫/১৯ (মো.-১৩): ‘‘আসার রাজত্বের পয়ত্রিশ বছর পর্যন্ত আর যুদ্ধ হল না।’’ অর্থাৎ এহুদা রাজ্যের রাজা আসা ও ইসরাইল রাজ্যের রাজা বাশার মধ্যে যুদ্ধ হল না। পূর্বের আলোচনা থেকে পাঠক স্পষ্ট জানতে পেরেছেন যে, এ বক্তব্যটা ১ রাজাবলি ১৫/৩৩-এর সাথে অসমঞ্জস। কারণ ২৬ বছর বাঁচলেন কিন্তু ৩৫ বছর পর্যন্ত যুদ্ধ করলেন না একথা বলার কোনো অর্থ থাকে না।