যীশু ও প্রেরিতগণের বক্তব্যগুলো মূলত পুরাতন নিয়মের বিকৃতি প্রমাণ করে। কারণ আমরা দেখেছি যে, ইহুদিদের বাইবেলের তিনটা অংশ (১) তৌরাত (Torah): ৫টা পুস্তক, (২) নাভিয়ীম (Nevi'im) বা নবীগণ: ৮টা পুস্তক এবং (৩) কিতুবীম (Ketuvim), অর্থাৎ কিতাবসমূহ বা লেখনিসমূহ: ১১টা পুস্তক। তৃতীয় অংশের প্রথম পুস্তক ‘গীতসংহিতা’। পক্ষান্তরে খ্রিষ্টধর্মীয় পুরাতন নিয়মের চারটা অংশ: (১) তৌরাত: ৫টা পুস্তক। (২) ঐতিহাসিক পুস্তকসমূহ (The Historical Books): ক্যাথলিকদের ১৬টা এবং প্রটেস্ট্যান্টদের ১২টা পুস্তক। (৩) প্রজ্ঞাপুস্তকসমূহ (The Wisdom Books) বা কাব্যিক পুস্তকসমূহ (The Poetical Books): ক্যাথলিক ৭টা এবং প্রটেস্ট্যান্ট ৫টা পুস্তক (গীতসংহিতা এ সংকলনের দ্বিতীয় পুস্তক) এবং (৪) নবীগণের পুস্তকসমূহ (The Prophetical Books): ক্যাথলিক বাইবেলে ১৮টা এবং প্রটেস্ট্যান্ট বাইবেলে ১৭টা পুস্তক। এগুলো সবই যীশুর যুগে বা প্রথম খ্রিষ্টীয় শতাব্দীতে ইহুদি বাইবেল এবং গ্রিক বাইবেলের মধ্যে বিদ্যমান ছিল।
কিন্তু যীশু ও শিষ্যরা ‘বাইবেল’ বুঝাতে সর্বদা বাইবেলের দুটো সংকলন বা দুটো অংশের নাম বলতেন: (২) The Law and the Prophets।[1] অর্থাৎ (১) তৌরাত বা ব্যবস্থা এবং (২) নবীগণ বা ভাববাদীদের পুস্তকাবলি। তাঁরা এ দুটোর বাইরে শুধু ‘গীতসংহিতা’ পুস্তকটার নাম পৃথকভাবে উল্লেখ করেছেন: ‘‘the law of Moses, and in the prophets, and in the psalms। মূসার তৌরাত এবং নবীগণ ও গীতসংহিতা অথবা দাউদের গীতসংহিতা।[2] যীশু ও প্রেরিতদের বক্তব্যকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করলে আমাদের মেনে নিতে হবে যে, ইহুদি বাইবেলের শেষ অংশের ১০টা পুস্তক এবং খ্রিষ্টান বাইবেলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশের ১৬টা বা ২২টা পুস্তক জাল।
[2] লূক ২৪/৪৪। আরো দেখুন: লূক ২০/৪২; প্রেরিত ১/২০।