যীশু ও প্রেরিতগণের সাক্ষ্যতেই এ পুস্তকগুলো বিকৃত। কারণ তাঁরা কিতাব, শাস্ত্র, ভাববাদীগণ কর্তৃক লিখিত ইত্যাদি কথা বলে যে সকল উদ্ধৃতি প্রদান করেছেন সে সকল উদ্ধৃতির অনেকগুলোই পবিত্র বাইবেলের পুরাতন নিয়মের মধ্যে নেই অথবা বিকৃতভাবে আছে। পরবর্তীতে বৈপরীত্য, ভুলভ্রান্তি এবং বিকৃতি প্রসঙ্গে পাঠক দেখবেন যে, নতুন নিয়মে যীশু বা শিষ্যরা পুরাতন নিয়ম থেকে যে সকল উদ্ধৃতি দিয়েছেন সেগুলোর কিছু ভয়ঙ্করভাবে বিকৃত এবং কিছু একেবারেই অস্তিত্বহীন। এক্ষেত্রে দুটোর একটা বিষয় স্বীকার করতেই হবে: হয় যীশুর সময়ের পুরাতন নিয়মের মধ্যে এ বক্তব্যগুলো ছিল, পরবর্তীকালে এগুলো গায়েব বা বিকৃত হয়েছে অথবা যীশু বা শিষ্যরা নিজেরাই পুরাতন নিয়মের নামে বিকৃত এবং ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপনা করেছেন। খ্রিষ্টানরা প্রথম ব্যাখ্যা এবং ইহুদিরা দ্বিতীয় ব্যাখ্যা গ্রহণ করেন। উভয় ব্যাখ্যা অনুসারে যীশু ও প্রেরিতগণের সাক্ষ্য দ্বারাই প্রমাণ হয় যে, ‘পাক কিতাব’ বা ধর্মগ্রন্থের পুরাতন বা নতুন অংশের মধ্যে বিকৃতি সাধিত হয়েছে।